কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে এ বছর বিআর-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানি জমি গুলি সাদা হয়ে গেছে। অন্তত হাজার হাজার একর জমি। এতে হাওরের হাজার হাজার কৃষকের কয়েক হাজার একর জমি নষ্ট হওয়ার কারণে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। হাওরের কৃষকরা বিআর-২৮ ধান কিছুদিন পর কাটার কথা থাকলেও এখন কৃষকরা তাদের ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে জমি গুলি খড়ের জন্য কেটে নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। অনেক কৃষক মহাজন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে সুদে টাকা এনে জমির জন্য প্রস্তুত করলেও এখন তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গত কাল শুক্রবার সকালে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের নদীর ওই পাড়ের বাইগুনের টেক কোম্পানি বাড়ির হাওরের বিআর-২৮ ব্লাস্ট রোগ হয়ে যাওয়ায় ধানি জমি গুলির কৃষক আকাশ দাস, সন্তুষ দাস, সজিব দাস, মন্টু দাস, টিটু লাল দাস, প্রভু রঞ্জন দাস, জুয়েল দাস, তপন দাস, রতন দাস, নিশি লাল দাস, হেম লাল দাস, খোকন দাস, বিনুদ দাস, বাবুল দাস, রাজেন্দ্র দাস, নির্মল দাস, অবিনাশ দাস, সত্য বান দাস, সঞ্জিত দাস সহ অনেক কৃষক এ প্রতিবেদককে বলেন, এ হাওরের প্রায় একশত একর জমি ব্লাস্ট রোগ হয়ে সাদা ধানের গাছ গুলো সাদা হওয়ার ফলে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। তারা আরও বলেন, এ হাওরে একটি মাত্র ফসল হয় তাও আবার ধানি জমি গুলি নষ্ট হওয়ার কারণে মহাজনের সুদ, ব্যাংক ঋণ ও এনজিও ঋণের টাকা হয়তো তাদের দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। আছানপুর গ্রামের নদী বেষ্টিত কৃষকরা ঘোড়াউত্রা নদীর কড়াল গ্রাসে এসব কৃষকের বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর পরেও তাদের শেষ আশা ছিলো এবছর ধান পেলে হয়তো ব্যাংক ঋণ ও এনজিও এর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। কিন্তু তাদের আশা যেনো একেবারেই নিরাশায় পরিণত হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার শ্রী স্বরবিন্দু দাস এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি নিজেও বিআর-২৮ ধান করেছেন। তিনিও এখন নিরাশার মধ্যে আছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে চলবেন তার কোনো ইয়ত্তা পাচ্ছেন না। দিঘিরপাড় ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তা মুছলেহ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, বিআর-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগ হওয়ার কারণে হাওরের কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছে বলে উল্লেখ্য করেন। তিনি বলেন, এ জমিগুলোতে এ রোগ হওয়ায় কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।