খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস’র নারি কেলেঙ্কারিতে সর্বস্তরে বইছে নিন্দার ঝড়। সাধারন মানুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়- মিছিলসহ মানববন্ধনের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও কলে এক কিশোরীর সাথে ৩মিনিট ২০সেকেন্ড ডিজিটাল সেক্স ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের নারি কেলেঙ্কারিতে সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে সামাজিক, রাজনৈতীক সহ প্রশাসনের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসে। ভিডিওটি তরুণ যুবকরা মুঠোফোনে হুড়মুড়িয়ে দেখছে যা অভিভাবক মহল রীতিমতো দুর্চিন্তায় পড়েছেন। এ অশ্লীল ভিডিও শুধু দেখছে না, তাদের মুঠোফোনে শেয়ার নিচ্ছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সব বয়সী মানুষের মুঠোফোনে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন তারা। সাধারন মানুষ বলছে, বর্তমান লতা ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের এমন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দেখে যুব সমাজ বিপদগামী হবে। তার ইউনিয়নের নারী সমাজ নিরাপদ নয় বলেও মন্তব্য করেন। এক যুবক তার নিজ আইডিতে লিখেছেন, চেয়ারম্যানের নুচ্চামি ভিডিও ফাঁস। শেষবেশ এটাও বাকি ছিলো দেখার। এত নিচো ভাবা যায়। ছি ছি ছি। আরোএক যুবক ক্লিংটন বিশ্বাস লেখেন, নির্লজ্জতার চরম সীমার নিরব দর্শক লতা ইউনিয়নবাসী। লতা ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি রাধীকা গোলদার বলেন, দীর্ঘদিন তার সাথে চলি, এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সাধারন সম্পাদক রতœা সরদার বলেন, শুনেছি, তবে দেখিনি, কাক্সিক্ষত ও পরিকল্পিত। লতা ইউপি সদস্য স্বপন কুমার মন্ডল বলেন, আমাদের অনেক মেম্বরমহদয় ভিডিওটি দেখছি। নিন্দা ও ধিক্কার জানায় এমন ঘটনায়, লজ্জায় পরিষদে চেয়ারম্যানের সামনে যেতে পাচ্ছি না। ইউপি সদস্য ফেরদৌস ঢালী বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, নিন্দনীয়। এ ধরনের কর্মকা- সমর্থন করি না। সমাজ, দেশ তথা দলের জন্য খারপ। তদন্ত হওয়া দরকার। প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ফেসবুকে দেখছি, তার চরিত্র নিয়ে প্রশংসা করতাম, তবে এখন যা শুনছি বা দেখছি তা সত্যতা যাচাই হলে আমি চাপা দিতে পারবো না। উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, খুবই নিন্দনী, এ ধরনের কর্মকা- সমাজের জন্য খারাপ বার্তা দেয়। ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস’র মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদ শেখ কামরুল হাসান টিপু বলেন, দেখা যায় না, যুব সমাজ নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবস্থা নিবো, হাই কমান্ড কে অবগত করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।