বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা কোদালধোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও কোদালধোয়া গ্রামের মেয়ে (১৫) কে একই উপজেলার বাকাল গ্রামের সৌরভ ফকির (২১) মারধর করে আহতর পরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। আহতকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ধর্ষনের চেষ্টাকারি সৌরভ ফকিরকে আসামি করে ৩১ মার্চ আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা কোদালধোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও কোদালধোয়া গ্রামের সুব্রত ওঝার মেয়ে সুচনা ওঝা (১৫) কে একই উপজেলার বাকাল গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে সৌরভ ফকির (২১) ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার কু -প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। শিক্ষার্থকে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিলো। তার ধারাবাহিগতায় গত ৩০ মার্চ সকাল দশটায় শিক্ষার্থী তার বান্ধবির বাড়ি থেকে তার নিজ বাড়ি যাবার সময় পশ্চিম বাকাল শামচেল ফকিরের বাড়ির সামনে আসলে সৌরভ ফকির শিক্ষার্থীর পথরোধ করিয়া মারধর করে গুরুত্বর আহত করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। শিক্ষার্থীর ডাকচিৎকার সুনে স্থানিয়ারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ৩১ মার্চ শিক্ষার্থী বাদী হয়ে সৌরভ ফকিরকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী সুচনা ওঝা বলেন, বাকাল গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে সৌরভ ফকির আমাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার কু-প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়াতে ৩০ মার্চ সকাল দশটায় আমি আামার বান্ধবির বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি যাবার সময় পশ্চিম বাকাল শামচেল ফকিরের বাড়ির সামনে সৌরভ ফকির আমার পথরোধ করিয়া আমার চুলের মুটি ধরিয়া এলোপাথারী মারধর করে আহত করে। তার পরে আমাকে টেনে রাস্তার পার্সে ফেলে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। আমি ডাক চিৎকার দিলে স্থানিয়া আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। আমি সুস্থ হয়ে ৩১ মার্চ সকালে সৌরভ ফকিরকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সৌরভ ফকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা ইন্সপেক্টর তদন্ত মো.মাজারুল ইসলাম জানায়, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযা চলছে।