পরিবারের স্বচ্ছলতা আনার জন্য স্বপ্নের দেশ লন্ডনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশী সেনবাগের মোঃ মিজানুর রহমান। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুরণের আগেই মাত্র দশ দিনের মাথায় লন্ডনে অগ্নিকাণ্ডে গত ৮ মার্চ মুত্যুবরণ করেন বাংলাদেশী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (৪২)। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের বাড়ির দরজায় জানাযা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টার সময় মিজানের লাশ হযরত শাহজালার (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮নং টার্মিণালে এসে পৌছলে ছেলের লাশ গ্রহন করে পিতা আবদুর রব। এরপর ইফতারীর কিছু সময় পর এ্যাম্বুলেন্স বাহি মিজানের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হ্নদয়বিদায়ক দৃশ্যের অবতারনা হয়। এ সময় শত শত নারী পুরুষের কান্নায় চারদিক ভারি হয়ে আসে।
মৃত মিজানুর রহামেনর পিতা সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিযনের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী আবদুর রব মিয়া জানান, তার পুত্র মিজান গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী ভিজিট ভিসায় লন্ডন যায়। এরপর সে পূর্ব লন্ডনের "শেড ওয়েল ভবনের চতুর্থ তলার একটি প্লাট বাসায় ওঠেন। এরপর ৫ মার্চ ওই ভবনের ৪র্থ তলায় আগুন লেগে তার পুত্র মিজান মারাত্নকভাবে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় এবং ঁেধায়ায় ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনের "দি রয়েল লন্ডন হসপিটালে" ভর্তি করানো হয়। এরপর ৪দিন চিকিৎসার্ধীন থাকার পর ৮মার্চ মিজান মারা যান। সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা খাদিজা আক্তার খুঁকি, ছেলে ইরফানুর রহমান রাফি ও মেয়ে নুসরাত জাহান সুরাইয়া ও স্ত্রীর কান্নার কেউ থামাতে পারছে না।