রংপুরের পীরগাছায় সদ্য ঘোষিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচন করে পকেট কমিটি ঘোষনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় পীরগাছা রহিম উদ্দিন ভরসা মহিলা মহাবিদ্যালয় হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের একাংশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পীরগাছা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা।
রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজওয়ান আলী বাবলু, সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম ডালেজ, পীরগাছা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, যুবদল নেতা আনিছুর রহমান ভূইয়া, তাতী দলের মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজার রহমান রেজা বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে অনেক অনিয়ম হয়েছে। জেলা কমিটির একজন ব্যক্তির ইশারায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা অদক্ষ ও অযোগ্য লোককে পদ দিয়ে বিএনপির রাজনীতি ঘর বন্দি করে রাখতে চায়। আমরা অনিয়মের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করছি। অতিদ্রুত এই আহ্বায়ক কমিটি সংশোধন করে নতুন করে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সদস্য নিধারনের দাবি জানানো হয়। ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, সদ্য ঘোষিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে অনিয়ম ও দুণীতির মাধ্যমে করা হয়েছে। কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করায় সিনিয়র ত্যাগী নেতাদের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ২০-২৫ বছর রাজনীতি করেও আজ আমরা অবহেলিত। আমাদের সেভাবে মুল্যায়ন করা হয়নি। শরিফুল ইসলাম ডালেজ বলেন, মামলা-হামলায় আজ আমরা জর্জরিত। বাড়িতে ঘুমাতে পারি না। অথচ আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্য করা ব্যক্তিরাই আজ আহ্বায়ক কমিটির বড় পদধারী। আমি সদস্য সচিব পদপ্রার্থী হলেও অদক্ষ একজন ব্যক্তিকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। যাকে তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীরা চেনেই না। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সাধারন সম্পাদক হলেও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ১৭ জন সদস্যের নিচে আমার নাম রয়েছে। যাদের কোনদিন কোন কর্মসূচীতে দেখা যায়নি, তারাই আমার উপরের সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।