কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই রাজনৈতিক আলোচনার জন্য ইউক্রেন সফরে গেলেন জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর। জ্বালানি খাত নিয়ে আলোচনার জন্য তার সঙ্গে একটি ছোট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও রয়েছে। জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক স্থানীয় সময় সোমবার সকালে আকস্মিক সফরে কিয়েভে পৌঁছান। যুদ্ধের পরে ‘পুনর্নির্মাণের’ ব্যাপারে ইউক্রেনকে আশ্বস্ত করতে এই সফর বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন, হ্যাবেক ইউক্রেনের রাজধানীতে পৌঁছেছেন। তবে ‘নিরাপত্তার কারণ’ উল্লেখ করে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে জার্মানির সর্বাধিক প্রচারিত বিল্ড সংবাদপত্রের মতে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইউক্রেন বিজয়ী হবে এবং পুনর্নির্মাণ করা হবে’-ইউক্রেনকে এমন বার্তা দিতেই এ সফর বলে কিয়েভের ট্রেন স্টেশনে হ্যাবেক সাংবাদিকদের বলেছেন। হ্যাবেককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ‘ভবিষ্যতে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অংশীদার হবে’। জানা গেছে, দুই পক্ষের আলোচনায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে পুনরায় গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। জার্মানির অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হ্যাবেক জানান, বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও এরইমধ্যে নেওয়া হয়ে গেছে বা দ্রুত নেওয়া হবে। এই সফরে তার সঙ্গী হিসেবে জার্মানির একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও রয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন ফেডারেশন অব জার্মান ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সিগফ্রিড রুসভুর্ম। তিনি বলেন, ‘জার্মানির শিল্পও যে ইউক্রেনের পাশে আছে’-এ সফর তারই বার্তা। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পর এটিই দেশটিতে হ্যাবেকের প্রথম সফর। চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকসহ আরো অনেক জার্মান কর্মকর্তা ইতোমধ্যে সেখানে সফর করেছেন। শুরুতে সংশয় থাকলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ভারী সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে জার্মানি। সম্প্রতি বার্লিন কিয়েভকে ১৮টি লেপার্ড-২ যুদ্ধ ট্যাংকও সরবরাহ করেছে। এদিকে বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে, ইউক্রেনের পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের জন্য কমপক্ষে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। সর্বাধিক প্রত্যাশিত চাহিদাগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবহন, আবাসন এবং জ্বালানি খাত। সূত্র : ডয়চে ভেলে, এএফপি