নারী কেলেঙ্কারিতে ভাইরাল হওয়া খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের অপসারন সহ শাস্তি মূলক ব্যবস্তা গ্রহণে এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছে। সোমবার লতা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর খলিফা ও সোহরাব হালদারসহ বহু নারী-পুরুষ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ইউএনও'র দপ্তরে জমা দেন। অভিযোগে উল্লেখ, কাজল কান্তি বিশ্বাস আওয়ামী যুবলীগের পাইকগাছা উপজেলার সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান লতা ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচিত হয়ার পর তিনি তার কর্মকা-ে ও পরিষদে এমনকি গ্রাম্য শালিস বিচারে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে অর্থ বাণিজ্য করিয়া আসিতেছেন। তাছাড়া একাধিক যুবতী নারী ও গৃহবধূর সাথে অনৈতীক সম্পর্ক স্থাপন করিয়াছেন। যাহা সম্পতি ফেসবুকে প্রচার হয়ে নেট জগতে ভাইরাল হয়েছে। তার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন সহ ইউনিয়ন বাসী লজ্জায় আছি। তাই তার অপসারণ সহ শাস্তির দাবী। বিষয়টি নিয়ে বার্তাসংস্থা এফএনএস এ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ক'দিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের সেক্সসুয়াল ভিডিওটি একে অপরের মোবাইলে ফাঁস হলে সব মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস ও এক যুবতীর সেক্সসুয়াল ভিডিও ফাঁস হলে গোটা এলাকায় তোড়পাড় সৃষ্টি হয়। ভিডিওটি দ্রুত সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান কাজল বে-কায়দায় পড়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে একপ্রকার আত্মগোপণে যান। ভিডিও ফাঁসের ঘটনাটি মুখোরোচক আলোচনাসহ সোসাল মিডিয়া এমনকি বাতাসংস্থা এফএনএস এ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হয়। সর্বশেষ চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের কাছে অভিযোগ হয়েছে। এ বিষয়ে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, লতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি ফরোডিং করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।