কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সেচপাম্প চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের লাংটিয়া গ্রামে। আহতরা হচ্ছেন-মো. আবদুল আওয়াল (৫৫), মো. হাদিউল ইসলাম (৫০), রঙ্গু মিয়া (১০০), মল্লিক মিয়া (৫৫) ও আকলিমা খাতুন (৪০)। তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। গুরুতর আহত আবদুল আওয়াল ও হাদিউল ইসলামকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত আকলিমা খাতুন জানান, কিছুদিন পূর্বে একটি সেচপাম্প চুরির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করা হলেও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বকুল মিয়ার নেতৃত্বে ওয়াসিম, হৃদয়, রফিক ও তাদের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। বল্লমের আঘাতে আমার স্বামী আবদুল আওয়ালের কণ্ঠনালীতে মারাত্মক জখম হয়। তাছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তাদের হাতে শতবছরের বৃদ্ধ রঙ্গু মিয়া এবং আমিও রক্ষা পাইনি। মাদক ব্যবসায়ী বকুল মিয়া ইতঃপূর্বে সংবাদপত্র পরিবেশক শহিদ মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য রতন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পুর্বে এলাকায় একটি সেচপাম্প চুরি ঘটনা ঘটে। আহত আবদুল আওয়ালের পুত্র ইমনকে চোর প্রমানিত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছিল কিনা তা আমি জানি না। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হতে পারে।
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহরিয়ার নাজিম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৫জনের মাঝে গুরুতর আহত আবদুল আওয়াল ও হাদিউল ইসলামকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রঙ্গু মিয়া, মল্লিক মিয়া ও আকলিমা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে একজন পরিদর্শককে পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।