কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম, মিঠামইন সহ ১৩ উপজেলায় এ বছর বিআর-২৯ ধানের ফলন বাম্পার হওয়ার কারণে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাজিতপুরের আছানপুর হাওরে গেলে কৃষকরা এ প্রতিবেদককে বলেন, এ বছর তারা হাওর থেকে বিআর- ২৯ পাকা ধান কেটে নিয়ে আসছেন। প্রতি একরে ৬০-৮০ মন ধর হচ্ছে। প্রতি মন কাঁচা ধান পাইকারদের নিকট ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকা মন ধরে বিক্রি করছেন। কিন্তু বিআর- ২৮ জাতের ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার একর জমি নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে হাওরের কৃষকদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বিআর- ২৯ ধান ভালো ফলন হওয়ার মূল কারণ হলো সময়ে সময়ে জমির মধ্যে কৃষকরা সঠিকভাবে পানি দিয়েছেন। একই সঙ্গে সময় মত বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকদের ডিজেল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিআর- ২৮ ধান আগে লাগানোর কারণে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বিআর-২৯ ধান সঠিক সময়ে রোপন করার কারণে বাম্পার ফলনের আশা করছেন। অনেক কৃষক, মহাজন থেকে চড়া সুদে, বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক ঋণ আনার পরও কৃষক সেই ঋণ দিয়ে লাভবান হওয়ার আশা রয়েছে। বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবিএম রকিবুল হাসান জানান, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বিআর- ২৯ ধানের ফলন বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।