নীলফামারীর সৈয়দপুরে সিজার করতে এসে এক নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটি ঘটেছে মঙ্গলবার শহরের সূর্ষের হাসি ক্লিনিকে। নবজাতকের বাবা রওশন সরকার রাজু জানান, তার স্ত্রী চাঁদনী বেগম (২৪) প্রথম গর্ভধারণ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে আসে সকাল ১১ টায়। এরইমধ্যে ক্লিনিক ম্যানেজার ও চিকিৎসক মিলে সিজার করা বাবদ গ্রহণ করে ১৫ হাজার টাকা। সকালে সিজার করার কথা থাকলেও সিজার করা হয় মাগরিবের একটু পুর্বে। তরিঘরি সিজার করে ওই চিকিৎসক চলে যায় তার নিজ বাসায়। এদিকে কিছু সময় পর নবজাতকের শরীরে রক্ত দেখতে পায় এক মহিলা। এতে নবজাতকের অসুস্থ মা চাঁদনী বেগম বাচ্ছার শরীর থেকে রক্ত দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। কিন্তু কেউ কান্না শুনতে আসেনি। তখনও নবজাতক বেঁচে ছিল। ক্লিনিকের নিচতলায় ছিল এক কর্মচারি। তিনি বলেন মালিজ থাকে ঢাকায়। ক্লিনিক পরিচালনা করেন ম্যানেজার। এখন চিকিৎসক ও ম্যানেজার দুই জনেই বাসায় গেছে। আজকে আর তাদের ডিউটী নেই। নিচ তলায় আর একজন মহিলা চিকিৎসক থাকলেও তিনি ওই নবজাতককে সেবা দেননি। ওই চিকিৎসক বলেন, ওই রোগি আমার নয় তাই আমি দেখতে পারবো না। এভাবে সময় ক্ষেপণের এক পড়যায় নবজাতক মারা যায়। পাশের লোকজন জানান, এ ক্লিনিকের স্থাপনার মালিক আলহাজ¦ বাদশা ফল বয়বসায়ি। তিনি কিভাবে তার ভবনটি একটি স্বাস্থ্য সেবা নামক সূর্যের হাসি ক্লিনিককে ভাড়া দিলেন তা প্রশ্নবিদ্ধ। তাছাড়া ভাড়াটিয়ার কোন কাগজপত্র তিনি থানা পুলিশকে জমা দেননি। যেটি জমা দেয়ার নিয়ম ছিল। এদিকে ক্লিনিকের মালিক,ম্যানেজার ও চিকিৎসক পলাতক থাকায় ঘটনা স্থানে আসেন থানা পুলিশ। স্বাস্থ্য সেবার নামে এটি কিভাবে চালু করা হল। এদের কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা। তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানালেন থানা পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ক্লিনিকে পুলিশের তদন্তকাজ চলছিল।