ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠসদৃশ একাধিক অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ইমেজ সংকটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বলে দাবি করেছে শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ইবির শিক্ষক লাউঞ্জে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। তবে এসবের সাথে জড়িত না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি ফোরামের সভায় ভিসির কণ্ঠসদৃশ অডিওর উৎস উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন এবং তার অবস্থানের ব্যাখ্যা দাবি করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপরও ভিসি তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেননি বলে দাবি করেছে শাপলা ফোরাম। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
অডিও ক্লিপগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে উল্লেখ করে শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য একই সঙ্গে বিব্রতকর ও অপমানজনক। এক কথায় এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একপ্রকার ইমেজ সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে আমরা মনে করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'আমার তো এখানে মতামত নেই। তারা মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দিচ্ছে। সেখানে তাদের তো জায়গা আছে। আমারো অথোরিটি আছে তারা দেখবে। সেই হিসেবে আমার কিছুই বলার নেই। আমি এসবের সাথে জড়িত না, আমি জানিও না'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাপলা ফোরামের সভাপতি প্রফেসর মামুনুর রহমান, সহসভাপতি শেলীনা নাসরীন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, সদস্য তপন কুমার জোদ্দার, মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান, রবিউল হোসেন, হোসাইন মো. ফারুকী, সাদেক আলী ও শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।
সম্প্রতি ফারাহ জেবিন, মিসেস সালাম, আল বিদা নামে তিনটি ফেসবুক আইডি থেকে উপাচার্যের কণ্ঠ সাদৃশ্য একাধিক অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর সেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এগুলোতে ভিসির কণ্ঠসদৃশ কথোপকথন শোনা যায়।