দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী ও হয়রানীর প্রতিবাদে বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় বারাকপুর বাজার চত্বরে বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আবদুর রউফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আঃ ওয়াদুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্যা আকরাম হোসেন, দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু মিলন কান্তি দে, সেনহাটি ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমান, বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল, কে এম আসাদুজ্জামান, কাজী মোশাররফ হোসেন, শরীফ মাহফুজুর রহমান,গাজী হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সিবু পদ বাছাড়,আঃ হালিম চৌধুরী, গাজী ফরহাদ হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান, উপজেলা যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান, আমজাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান তারেক, গাজী আলী বাকের প্রিন্স, সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমির হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিপন মল্লিক, মিলন মজুমদার, মোল্লা হায়দার আলীসহ দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যবৃন্দ। বক্তারা বলেন, আনসারের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিল না। সে এলাকায় বসবাস করতনা। সে সর্বদা প্রতিহিংসাতœকভাবে বারাকপুর আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় গাজী পরিবার তথা প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। এ কারণে তিনি এলাকায় আনসার বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি ও তার বাহিনী নিয়ে গোটা জনপদে চাঁদাবাজীসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল। তাকে নিয়ে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত থাকত। তার এ সকল কর্মকান্ডের বিরোধীতা করতে গিয়ে প্রায়ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিকে নির্মমভাবে আনসারসহ তার বাহিনীর লোকেরা শারীরিক নির্যাতন চালায়। যে কারণে তার মৃত্যু হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তা হত্যার বিচার চান। আনসার বসবাস করত খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার হত্যার দায়ভার বারাকপুরের প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের ভাইপো ও বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলসহ আওয়ামী লীগ পরিবার নেবে কেন? বক্তারা অনতি বিলম্বে চেয়ারম্যান পাভেলসহ বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলার থেকে নাম পরিবর্তন না করলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আনসারকে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত করে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে তারাই প্রকৃত পক্ষে আনসারের খুনি। তারা আওয়ামী লীগকে বারাকপুর থেকে নিচ্ছিন্ন করতেই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর পরেও যদি আওয়ামীগের কোন মহল পর্দার আড়ালে থেকে আওয়ামী লীগ তথা গাজী পরিবারের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তবে আমরা বারাকপুরের সকল নেতা কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে গণপদত্যাগ করতে বাধ্য হবো। সভা শেষে দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম ও বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আবদুর রউফের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।