দিঘলিয়ার পথের বাজারে ঘরের চালার টিন কেটে ৫ দোকানে চুরির ক্ষত না শুকাতে সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন ৪টি দোকানের টিন কেটে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এলাকায় নানা নেশা দ্রব্যের কেনাবেচা ও তাদের অবাধ জটলায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ভাবিয়ে তুলছে এলাকার সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ী মহলকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি, দিঘলিয়া, গাজীরহাট ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ আজ শঙ্কিত। এলাকায় নেশা দ্রব্যের আমদানি ও কেনাবেচা, বসতবাড়িতে চুরি, মারামারি, দোকানপাটে চুরি সংঘটিত হচ্ছে। এ সকল অসামাজিক কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। এমনি অভিযোগ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের। ভুক্তভোগী মহল এ প্রতিবেদককে জানান, মাত্র কয়েক মাস আগে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি বাজার, পথের বাজারসহ কয়েকটি বাজারে চুরি সংঘটিত হয়েছে। সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গেট সংলগ্ন ৩টি দোকানের টিন কেটে চুরি সংঘটিত হয়েছে। গাজীরহাটে মনিরুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিকের বাড়ি থেকে ১৬টা রাজাহাঁস চুরি হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন রাতে বিভিন্ন বাড়িতে অথবা দোকানে চুরি সংঘটিত হচ্ছে। সর্বমহলের রাত কাটছে নিদ্রাহীন রজনী। সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় পথের বাজারে একই রাতে একই কৌশলে ৫টি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পথের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দিঘলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাজার বয়বসায়ীদের পক্ষ থেকে এই সংঘবদ্ধ চোর চক্রকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সেই রেশ যেতে না যেতে গত সোমবার দিবাগত রাতে সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন ৪টি দোকানের চালার টিন কেটে চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা ৪টি দোকান থেকে নগদ টাকাসহ অর্ধ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি সংঘটিত হওয়া দোকানগুলো হলো মোঃ রাসেলের মুনাইমা টেলিকম, মোঃ লুকমানের লুকমান স্টোর, মোঃ মাহফুজের আল মদীনা শপ ও জাবেদ হোসেন ববির দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পক্ষ থেকে দিঘলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ববির দোকানে ভেতরে ঢুকতে পারে নি চোর।
এ ব্যাপরে কথা হয় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকারের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।