নওগাঁর পত্নীতলায় কমলপুর মাঠে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ভাই কর্ত্তৃক অপর ২ ছোট ভাইয়ের বোরোর ধানক্ষেত আগাছা নাশক দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় প্রদত্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে ৯০ শতাংশ জমি নিয়ে মৃত মছির উদ্দিনের ৩ ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মোতালেব হোসেন ও মৃত মোজাম্মেল হকের উত্তরাধীকারদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অভিযুক্ত বড় ভাই মোতালেব হোসেন আদি করার নামে একাই ওই সম্পত্তি জোর করে ভোগ দখল করে আসছিল। সম্প্রতি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বড় ভাই মোতালেব তাঁর ছোট ভাইদের জমি ছেড়ে দেয়। ওই জমিতে দীর্ঘ ১২ বছর পর অপর ভাই মোস্তাফিজুর ও মৃত ভাই মোজাম্মেলের সন্তানরা বোরো ধান রোপন করেন।
স্থানীয় সালিশের চাপে বড় ভাই সম্পত্তি ছেড়ে দিলেও অপর ভাই ও পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি প্রদান ও ক্ষতিসাধনের জন্য শাসিয়ে আসছিল। ৩১ মার্চ শুক্রবার রাত্রী ৮.৩০ মিনিটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বড় ভাই মোতালেব হোসেন (৫০), ভাবী ফিরোজা বেগম (৪৮), ভাতিজি সাবেনুর বেগম (২৮) ও নাজমা খাতুন (৩৫) দলবদ্ধভাবে লাঠি সোটা, স্প্রে মেশিন ও বিন্না মারা বিষ নিয়ে বোরো ক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ করে এবং ধানক্ষেতে বিন্না মারা বিষ ছিটিয়ে দেয়। বাদী মসজিদ হতে বাড়িতে ফেরার সময় বিবাদী স্প্রে মেশিন হাতে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে ধান ক্ষেত্রে গিয়ে দেখেন ধানের গাছগুলো হেলে পড়েছে। এ সময় তাঁর চিৎকারে লুৎফর রহমানের ছেলে মমতাজ হোসেন, ময়েজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলামসহ অনেকে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন এবং ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। বোরো ক্ষেতে বিন্না মারা বিষ প্রয়োগ করায় বিবাদীর ১লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগে জানান।
এ বিষয়ে বাদী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ধানে বিষ প্রয়োগের ৩/৪ দিনের মধ্যে স্প্রে প্রয়োগের বিষয়টি আরো নিশ্চিত হয়ে ০৪ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এ সময় বড়ভাই মোতালেবের বিরুদ্ধে কাহারো কোন আদেশ, নির্দেশ অগ্রাহ্য করারও অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোতালেব হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর বলেন, আপনারা যা পারেন করেন। এসআই (নিরস্ত্র) নজরুল ইসলাম জানান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসে না থাকায় অভিযোগটি তাঁর টেবিলে জমা রয়েছে। তিনি অফিসে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।