শুক্রবার (৭এপ্রিল) বিকাল ৪টায় লাখোহাটি ফুটবল মাঠে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলাধীন ২নং বারাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল সহ আওয়ামী নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বারাকপুর ইউনিয়নের শতশত নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, শেখ আনসার উদ্দিন আততায়ীর হাতে নিহত হন খানজাহানআলী থানার শিরোমনি এলাকায়। অথচ বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল তার আগে থেকেই ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন কিন্তু পাভেল গাজীসহ তার পরিবারের লোকজন এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহার তৈরি করা হয়েছে। কৌঁসুলি ও নিপুন হাতে কঠিন মাথায় এ এজাহার করা হয়েছে এবং এবার গাজী পরিবার ও তাদের স্বজনরা এবার পার পাবেনা এমন কথা শোনা গেছে বারাকপুর ও দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকানে বলে জানা গেছে। তখনও এজাহারে কাদের আসামি করা হয়েছে এবং মামলা দায়ের হয়েছে খানজাহান আলী থানায়। সুকৌশলে এজাহারে এদেরকে আসামি করে হত্যার দায়ভার সুকৌশলে এজাহারের কুশলীরা উল্লেখিতদের কাঁধে চাপিয়ে দেয় বলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ। এ মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তাত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে বক্তারা বারবার দাবী করে আসছেন। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। লাখোহাটি গাজী পাড়া মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন শুক্রবার জুম্মার নামাজে যারা আমার পিছনে নামাজ পড়েছিল আজ দেখলাম তারাই এই হত্যাকান্ডের আসামী। এটি কি করে হলো প্রশ্নটি রেখে গেলেন প্রশাসনের নিকট। অপরদিকে আরেক বক্তা বলেন, ফুলের মত পবিত্র একটি ছেলে চেয়ারম্যান সাহাগীর হোসেন পাভেলকে ইউনিয়নবাসী শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান করাটাই হলো এই হয়রানীর মূল কারণ। তারই প্রতিবাদে বারাকপুর ইউনিয়নের শতশত নারী পুরুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে প্রতিবাদ জানাতে। বক্তারা বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা এই শতশত নারী পুরুষ রাস্তায় আছি এবং থাকব। বারাকপুর ইউনিয়নবাসী শান্তি চায়, সংঘাত নয়, হয়রানী নয়, মামলা হামলা নয়। তাই শেখ আনসার উদ্দিনের জীবন ইতিহাস জেনে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আসামি শনাক্ত করা হোক এবং এই হয়রানিমূলক মামলা থেকে চেয়ারম্যান সাহাগীর হোসেন পাভেলসহ সকল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে বারাকপুর ইউনিয়নবাসীকে শান্তি শৃঙ্খলার সাথে বসবাস করার পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল বারাকপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। বারাকপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ নারী পুরুষের ঢল নামে।