জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া ও ভরপাশা ইউনিয়নের দুটি আয়রণ ব্রীজ দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় যানবাহনতো দূরের কথা এখন জনসাধারণের যাতায়াতে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠণের পর তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ মাসুদ রেজার সময়ে নলুয়া ইউনিয়নের আফালকাঠি গ্রামের আমগাছিয়া খালের ওপর এলজিইডির তত্ত্বাবধায়নে আয়রন ব্রীজ নির্মান করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন আফালকাঠি, মধ্য নলুয়া, শিমুলতলা, পাতাবুনিয়া, পশ্চিম নলুয়া, উত্তর নলুয়া ফেরিঘাট হয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরে ও পাতাবুনিয়া খেয়াঘাট হয়ে পার্শ্ববর্তী দুমকি উপজেলায় আসা-যাওয়া করে নলুয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দারা। এছাড়াও ওই ব্রীজটির ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে দুইটি মাধ্যমিক, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দুইটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্রীজট গত দুইবছর ধরে খুবই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। ব্রীজটির মাঝখানে প্রায় ১২ ফুট চওড়া ঢালাই ধসে গর্ত হয়ে রড বেড়িয়ে গেছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পারাপার হলেও যানবাহন চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন কয়েক হাজার মানুষ। ব্রীজটি বর্তমানে এতোই নড়বরে অবস্থায় যে এর (ব্রীজ) ওপর মানুষজন উঠলে দুলতে থাকে। তাই ব্রীজটি যেকোন সময় ধসে নলুয়া ইউনিয়নবাসীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি নির্মানের
জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের সাথে পাশ্ববর্তী আতাকাঠি গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম আয়রন ব্রীজটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। ফলে ব্রীজের মাঝখানের পলেস্তারা খসে পরার পাশাপাশি পিলারে ফাঁটলসহ ব্রীজের দুইপাশের নিরাপত্তা রেলিং ভেঙে গেছে। এছাড়াও ব্রীজের দুইপাশের সংযোগ সড়কে মাটি না থাকার এলাকাবাসীকে ব্রীজ পারাপারে সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত ৩০ ফুট দৈর্ঘের এ ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন দুধলমৌ, আতাকাঠি, কৃষ্ণকাঠি, পাদ্রীশিবপুর গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করে আসছে। ব্রীজ নির্মানের পর থেকে অদ্যবর্ধি কোনধরনের সংস্কার করা হয়নি। ফলে বর্তমানে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ব্রীজটি ধসে পরার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দুটি ব্রীজের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ওইদুটি ব্রীজসহ উপজেলার আরো কয়েকটি আয়রন ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন বরাদ্দ পেলেই ব্রীজগুলো নতুন করে নির্মান করা হবে।