প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর শুনে প্রেমিক ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলো তার বন্ধুকে। কিন্তু সেই বন্ধু কৌশলে প্রেমিকাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। এ ঘটনায় অপহরণের মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ওই মামলায় গত তিনদিন ধরে কারাভোগ করছেন প্রেমিক হাসান সরদার। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার চরডিক্রী গ্রামের।
শনিবার সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে হাসান সরদারের সাথে একই এলাকার দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এক কিশোরীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ছাত্রীর পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। এ খবর শুনে হাসান প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বন্ধু তেরচর গ্রামের শওকত হোসেনকে প্রেমিকার বাড়িতে পাঠায়। কিন্তু শওকত ভুল বুঝিয়ে তার বন্ধুর কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে তার বাড়ি থেকে বের করে কৌশলে নিজেই অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। এরপর হাসান সরদার চেষ্টা করেও শওকতের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
অপরদিকে মেয়ে চলে যাওয়ার পরেরদিন (বুধবার) মুলাদী থানায় অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। সেই মামলায় পুলিশ হাসান সরদারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। ফলে গত তিনদিন থেকে কারাভোগ করছেন হাসান সরদার।
শনিবার দুপুরে মুলাদী থানার ওসি তুষার কুমার মন্ডল বলেন, অপহৃতা কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত হাসান সরদারকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার শেষকার্যদিবসে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসানের বন্ধু শওকত হোসেনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।