পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ফসলি জমির মাটি কাটা থামছেনা। মাটি কাটার যেন মহোৎসব চলছে। ফসলি জমির এই মাটি যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়। এলাকার অবৈধ ইটভাটার প্রভাবশালী মালিকরা মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে রফাদফা করেই এমনটা চলছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে এস্কভেটর লাগিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। কোন পদক্ষেপ নেই।
এদিকে অসংখ্য ট্রলি আর ডাম্পট্রাকে মাটি পরিবহণ করায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীন জনপদের রাস্তা-ঘাট। পাকা ও আধাপাকা রাস্তাগুলো ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধরমগাছা ব্রিজের পাশে গুমানী নদীর পাড় দখল করে গড়ে ওঠা ‘মির্জাপুর ব্রিকস র্ফিড’ নামের অবৈধ ইটভাটার মাটি সড়কের উপর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও আজ অবধি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেই। রাত দিন ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি পরিবহণের ফলে গ্রামীণ সড়কগুলোর বেহাল দশা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই।
অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন,আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালিকা পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালবেন। আমরা সহযোগিতা করবো।