নওগাঁর মান্দায় চার্জারভ্যান চুরি করতেই চালক আইজুল হক ম-লকে (৫০) চোলাইমদের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করে আন্ত:জেলা একটি চোর চক্র। এরপর আন্ধারসুরিয়া বিল সংলগ্ন বাঁধের নির্জন স্থানে তাঁকে ফেলে দিয়ে চার্জারভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এরইমধ্যে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে আইজুল হকের চার্জারভ্যানটি। গ্রেপ্তার দুইজনকে সোমবার বিকেলে নওগাঁ আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমা-ের আবেদন করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের মৃত দুখাই মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা ওরফে রবিউল (৪২) ও নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কৃষ্ণপুর দীঘা গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে সাদ্দাম মিয়া (৩০)।
পুলিশ জানায়, আইজুল হক ম-লের লাশ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের আইনের আওতায় নিতে কাজ শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর এলাকা থেকে রুবেল মোল্লা ওরফে রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রুবেলের স্বীকারোক্তিতে নলডাঙ্গা থেকে সাদ্দাম মিয়াকে গ্রেপ্তারসহ তার হেফাজত থেকে চুরি যাওয়া চার্জারভ্যানটি উদ্ধার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম হোসেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্ত:জেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গত ২৫ মার্চ দেলুয়াবাড়ি বাসস্ট্যা- থেকে চৌবাড়িয়া বাজারে যাওয়ার কথা বলে আইজুল হকের চার্জারভ্যান ভাড়া নেয়।
ওসি আরও বলেন, পথে আন্ধারসুরিয়া বিল সংলগ্ন বাঁধের নির্জন এলাকায় বসে তাঁরা এক সঙ্গে চোলাইমদ পান করে। চক্রের সদস্যরা আগে থেকেই টাইগারের বোতলে চোলাইমদ সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। পরে তাতে চেতনানাশক মিশিয়ে আইজুলকে পান করায়। এর কিছু পরে আইজুল অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁকে সেখানে ফেলে দিয়ে চার্জারভ্যান নিয়ে সটকে পড়ে চক্রের সদস্যরা। উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ সকাল ৯টার দিকে চার্জারভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেন হন আইজুল হক ম-ল। ওইদিন সন্ধ্যার পরও বাড়ি না আসায় তাঁর মোবাইলফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ২৬ মার্চ রাত ১০টার দিকে আন্ধারসুরিয়া বিল সংলগ্ন শিবনদের বাঁধের ধার থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।