মুলাদীতে প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নে তয়কা-টুমচর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দেশিয় অস্ত্র নিয়ে দুই দল মুখোমুখি অবস্থান করায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা-টুমচর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টুমচর গ্রামের মোকছেদ আকন এবং ইউপি সদস্য আলম বেপারীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। বিরোধের জেরধরে গত ৫ মার্চ বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলম বেপারীর বাড়িতে বোমা হামলা ও ভাঙচুর হয়। ওই সময় আলম বেপারী ও তার লোকজন এলাকা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পরে আলম বেপারীর লোকজন সোমবার সকালে দলবদ্ধ ভাবে এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা চালায়। মোকছেন আকন গ্রুপের ফারুক হাওলাদার লোকজন নিয়ে টুমচর গ্রামের পটা মিয়া চৌকিদার বাড়ির জোড়া ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ করে বাঁধা দেয়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আলম বেপারীর কিছু লোক এলাকায় অবস্থান নিতে পারলেও অনেকেই প্রবেশ করতে পারেনি।
সংবাদ পেয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার ম-ল অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালান। এ ছাড়া সেলিমপুর ফাঁড়ি পুলিশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। অভিযানের সময় পুলিশ সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের জব্বার সরদারের ছেলে জামাল সরদার এবং আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে ফরহাদ হাওলাদারকে আটক করেছেন।
এব্যাপারে মোকছেদ আকন গ্রুপের মনিরুজ্জামান জানান, এলাকায় সবাই শান্তিপূর্ণ বসবাসের লক্ষ্যে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সোমবার ইউপি সদস্য আলম বেপারী দুইটি ট্রলারে করে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এলাকায় এসেছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তবে আলম বেপারীর বহিরাগত লোকজন যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে এবং এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার ম-ল বলেন, তয়কা-টুমচর ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অভিযান চলছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য নির্দেশণা দেওয়া হয়েছে।