মাদারীপুরের কালকিনিতে রাতের আঁধারে একটি রান্না ঘরে ভুয়া টাইম বোমা পেতে রেখে এলাকা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে করে ভয়ে ওই এলাকা মুহুর্তের মধ্যে জন্যশুন্য হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশের সহযোগীতায় ওই ভুয়া টাইম বোমটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার রমজানপুর এলাকার উত্তর রমজানপুর গ্রামের মোঃ সবুজ চৌকিদারের রান্না ঘরে মঙ্গলবার ভোররাতে একটি ভুয়া টাইম বোম তৈরী করে তা পেতে রাখে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে সবুজ চৌকিদারের স্ত্রী সাবিনা বেগম ঘুম ভেঙ্গে রান্না ঘরে কাজ করতে গিয়ে পেতে রাখা ওই ফেক ভুয়া টাইম বোমাটি দেখে চিৎকার করে। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে পেতে রাখা বোমাটি দেখে ভয়ে তারও বোম-বোম বলে চিৎকার করে উল্টো দৌড় দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ভয়ে- আতঙ্কে একপর্যায় এলাকা জনশুন্য হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি জেনে কালকিনি থানা পুলিশ ওই পুরো বাড়িটি নিরাপত্তার স্বার্থে ঘিরে রাখে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে দিনভর এক নাটকীয়তা রুপ ধারন করে। পরে দুপুরে পুলিশের সহযোগীতায় ঢাকা থেকে আগত বোমা বিকল করা একটি টিম এসে মাদারীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল, থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন, ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমাছ পাইক, ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম খান, ৯ নং ওয়ার্ডেরর ইউপি সদস্য হাসানাত ফকিরের উপস্থিতিতে ওই ভুয়া টাইম বোমটি উদ্ধার করেন। এতে করে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে এবং আনন্দ বিরাজ করেন।
ভুক্তভোগী সবুজ চৌকিদারের স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, রাতের আঁধারে কারা এটা করেছে বলতে পারবো না। তবে আমাদের এলাকা ছাড়া করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি আইনগতভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমরা ঢাকা থেকে বোমা বিকল করা একটি টিম এনে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছি যে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি পাইপ, গাম, পেন্সিল ভ্যাটারী, তার, কয়েকটি বাজি ও একটি ঘড়ি ফিটিং করে একটি ভুয়া টাইম বোমা আকারে তৈরী করে রান্না ঘরে রাতের আঁধারে পেতে রেখেছিল। আসলে এটা যারা করেছে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। তবে আমরা তদন্তে করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।