খুলনার ডুমুরিয়ার আঁধারমানিক স্লূইচ গেটের কপাট খুলে লবন পানি ঢুকিয়েছে কতিপয় মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী চক্র। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে তোলা লবন পানিতে অন্তত ৫টি বিলের বোরো ধান ক্ষেত হুমকীতে পড়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লবন পানি উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে পাউবো’র ১৭/১ পোল্ডার আওতায় মাগুরখালী এলাকার আঁধারমানিক সুইজগেট ক্যাসমেট এলাকায় পারমাদারতলা, চিত্রামারী, হোগলাবুনিয়া, গজালিয়া ও খোরেরাবাদ বিলে প্রায় ২ হাজার বিঘা জমিতে এবার বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। যে কারণে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বিলে লবন পানির প্রবেশ ঠেকাতে স্লুইস গেটের কপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এলাকার একটি স্বার্থেন্বেষী মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী চক্র সংবদ্ধ হয়ে সোমবার গভীর রাতে স্লূইচগেটের কপাট খুলে ভিতরে লবন পানি প্রবেশ করায়। এ বিষয়ে গজালিয়া গ্রামের কৃষক মৃনাল সানা জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন।ধানে কেবল থোড় আসতে শুরু করেছে। কিন্তু মাছ চাষ করার স্বার্থে কতিপয় স্বার্থেন্বেষী ব্যাক্তি রাতের আধাঁরে গেটের কপাট খুলে ভিতরে লবন জল ঢুকিয়েছে কোন ধরণের আলোচনা ছাড়াই। এতে চলতি মৌসুমি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশংখ্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষক সুজিত মন্ডল জানান, ওই চক্রটি রাতের আঁধারে গেটের কপাট খুলে নিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে বিল প্লাবিত হচ্ছে। এই পানি বের করারও কোন পথ নেই। বোরো আবাদের শেষমুহুর্তে এতোবড় ক্ষতি মেনে নেয়া যায়না। আমরা তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনকেও জানিয়েছিলাম। আজ বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান,থানা অফিসার ইনচার্জ কনি মিয়া ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসেন। এ সময় তারা স্লুইস গেট দিয়ে লবন পানি ঢোকা বন্ধ করতে তাৎক্ষনিক ভাবে গেটে বাঁধ দেওয়ার জন্য ১০০টি জিয়ো ব্যাগ প্রদান করেন।