চৈত্রের প্রচণ্ড তাপদাহ, বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং আর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নীচে নেমে যাওয়ায় পাবনার সুজানগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিশু এবং বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষ অসহনীয় তাপদাহ, লোডশেডিং আর পানি সঙ্কটের কবলে পড়ে ছটফট করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তীব্র তাপে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। অগ্নিঝড়া গরমে হাট-বাজার এবং রাস্তা-ঘাটে মানুষের বিচরণ বেশ কমে গেছে। পাশাপাশি তীব্র গরমের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকেরা। সামান্য পরিশ্রমেই তারা হাঁপিয়ে উঠছেন। উপজেলার মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম বলেন তীব্র গরমের পাশাপাশি বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁতসহ বিদ্যুৎ নির্ভর বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালত এবং ব্যাংক-বীমার কার্যক্রম। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার বেশিরভাগ হস্তচালিত টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলার কাদোয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন প্রায় ২০দিন হলো আমার বাড়িসহ আশপাশের বাড়ির টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা। ঐ সকল বাড়ির লোকজন দূর-দূরান্তের গভীর নলকূপ থেকে পানি টেনে এনে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছেন। উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপণ্ডসহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন দির্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নীচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ হস্তচালিত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত পানি সঙ্কট দূর হবেনা।