স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ইট সলিংয়ের ব্যাপক খানাখন্দের রাস্তাটির সংস্কারের জন্য একাধিবার ধর্না দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন প্রতিবন্ধী যুবক ফেরদৌস তালুকদার। কারণ ওই রাস্তাটি দিয়েই হুইল চেয়ারে করে ফেরদৌসের চলাচল করতে হয়।
জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের বানী শুনতে শুনতে সম্প্রতি প্রতিবন্ধী ফেরদৌসের হুইল চেয়ারটি উল্টে কয়েক বার দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। অবশেষে মনের কস্টে নিজের কাছে থাকা সামান্য অর্থ ও বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে প্রায় ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে অতিসম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কার করেছেন ফেরদৌস। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের উত্তর চাঁদশী গ্রামের।
বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজ থেকে প্রায় ১২শ’ গজ ইট সলিংয়ের খানাখন্দের রাস্তাটি কয়েকদিন পূর্বে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করিয়েছেন প্রতিবন্ধী যুবক ফেরদৌস তালুকদার। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে কাজটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করা উচিত ছিলো, সেই কাজ প্রতিবন্ধী ফেরদৌস করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি টিকবে না বলে আশঙ্কা করে স্থানীয়রা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, একসময়ের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ফেরদৌস তালুকদার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে ২০১২ সালে চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন। চলাচলের ক্ষমতা হারানোর পর তার চলার সাথী হয় হুইল চেয়ার। জীবন জীবিকার তাগিদে তিনি (ফেরদৌস) বাড়ির কাছেই একটি ছোট্ট মুদি দোকান পরিচালনা করছেন। দোকান থেকে হুইল চেয়ারে করে তার বাড়ি ফেরার রাস্তার কিছু অংশে ইট বসানো থাকলেও বাকি অংশ কাঁচামাটির। বর্ষা মৌসুমে কাঁচা মাটির রাস্তাটুকু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। অন্য অংশের ইট সলিং সরে গিয়ে বিভিন্নস্থানে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।