সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ফেইসবুক, হায়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে। চায়ের দোকানে বসে আজগবি কথা বলে সাধারণ মানুষকে বিপাদগামী করার চেষ্টা করছে। কলারোয়ায় ঠিক এমটির কাজ শুরু করেছে উপজেলার বিএনপির অন্যতম সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ। তার বাড়ী কলারোয়া পৌরসভার পিছনে। সে কলারোয়া থানার সামনে একটি শো-রুমে বসে থানার পুলিশের সকল তথ্য সংগ্রহ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সেয়ার করছে। এমনকি থানায় কোন নাশকতা মামলা হলে সাথে সাথে হায়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানের তার একটাই কাজ থানা পুলিশের তথ্য সংগ্রহ করা আর বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে সেয়ার করা। সে সব সময় থানা পুলিশের সামনে ঘুর ঘুর করে বেড়ায় গুপ্তচর হিসাবে। এ ছাড়া সে কলারোয়া উপজেলা বাসষ্টান্ডে একটি ঢাকা পরিবহন কাউন্টারে বসে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে শলাপরামর্শ করে নিয়মিত ভাবে। এ ছাড়া তার আরেক এক সংযোগি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কলারোয়া পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক সে কলারোয়া উপজেলার পারিখুপি গ্রামের বিএনপি ক্যাডার সাইদুর রহমানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন। এই সাইদুর থানা পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে বর্তমানে ঢাকায় থাকেন। আর সে ঢাকায় বসে কলারোয়ার বিএনপির নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করে থাকেন। তার পরিবারের সদস্যদের নামে নাশকতা মামলা রয়েছে। যার মামলা নং-১২(৩)১৩। এ বিষয়ে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বাবু রামপ্রসাদ দত্ত জানান-পারিখুপি গ্রামের সোমলেম, নুর ইসলাম কিধরনের মানুষ এলাকায় খোঁজ নিলে জানা যাবে। তাদের অত্যচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত। ২০১৩ সালে নাশকতা মামলা হওয়ার পর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির প্রতিটি মিছিল ও সমাবেশে তারা যোগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যচার শুরু করেছে। উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দরা বলেন-এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।