খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় লতা ইউনিয়নের সচেতন জনগণের আয়োজনে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাপ আলী হাওলাদার’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য ও সাংবাদিক কৃষ্ণ রায়, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য দেবাশীষ রায়, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মীর ইব্রাহিম খলিল পরান, প্রভাষক বিষ্ণু পদ মন্ডল, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক দিপক রায়, মানবাধিকার কর্মী মো. মশিউর রহমান, যুবনেতা মনোতোষ মন্ডল, সুব্রত তরফদার, চন্দন রায়, সুশান্ত দফাদার, সরোত্তম সরকার, মনোজ মন্ডল, সাগর রায়, কুমারেশ সরকার, সমির সরকার, চিন্ময় মন্ডল, সজিব মন্ডল, তন্ময় ঢালী, সজিব রায় ও ক্লিনটন বিশ্বাস প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি উপজেলার সবচাইতে আলোচিত ঘটনা এক কিশোরীর সাথে চেয়ারম্যানের ৩ মিনিটি ১৭ সেকেন্ড অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল। ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়নের একজন অভিভাবক। অভিভাবক হয়ে সে নারী লোভী কুলাঙ্গার। মেয়ে বয়সী এক কিশোরীর সাথে অনৈতীক কাজে লিপ্ত হয়েছে। আমরা ইউনিয়নবাসী লজ্জিত। চেয়ারম্যান সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, ইউনিয়নের নারী সমাজ নিরাপদ নয়। আর এক বক্তা বলেন, কাজল কান্তি বিশ্বাস নারী লোভী, দুর্নীতির শিরোমণি, ঘুষখোর, ইউনিয়নবাসী ফুঁসলে উঠেছে। দ্রুত অপসারণ চাই। এ কুলাঙ্গার ইউপি চেয়ারম্যানের মুখ দেখতে চায় না ইউনিয়নবাসী। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে লতা ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান কাজলের বহিষ্কার সহ শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করে। গত ৩ এপ্রিল সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর খলিফা ও আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাপ আলী হালদারসহ বহু মানুষের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ইউএনও'র দপ্তরে জমা দেন। ৪ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারসহ শাস্তির দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেন। সেক্সসুয়াল ভিডিও দ্রুত সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান বে-কায়দায় পড়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্দ রেখে একপ্রকার আত্মগোপণে যান। ভিডিও ফাঁসের ঘটনাটি মুখোরোচক আলোচনাসহ সোসাল মিডিয়া এমনকি দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হয়েছে। ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়ায় তাকে চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি দল ও দলের বাইরে থেকেও বিষয়টি সর্বোচ্চ সমালোচিত হচ্ছে।