প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে ৮ থেকে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন সাপ্তাহিক ব্রিফিং করেন। সেহেলী সাবরীন জানান, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে ৮-১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত হলে পরে আপনাদের জানানো হবে। সূত্র জানায়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আমন্ত্রণে আগামী ২৫-২৮ এপ্রিল জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে শেখ হাসিনাকে জাপানের সম্রাট অভ্যর্থনা জানাবেন। দেশটি সফরকালে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন। জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগবিষয়ক একটি শীর্ষ সম্মেলন, কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার সম্মাননা তুলে দেবেন। গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা ছিল। তবে সে সময় কোভিড-১৯ বেড়ে যাওয়া ও জাপানে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শেষ পর্যন্ত সফরটি স্থগিত করা হয়। সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে প্রথম জাপান সফর করেন। এরপর তিনি ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং সবশেষ ২০১৯ সালে টোকিও সফর করেন। আর এবারের সফর প্রধানমন্ত্রীর দেশটিতে ষষ্ঠ সফর হতে যাচ্ছে। এদিকে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে হস্তান্তর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সেহেলী সাবরীন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাঠানো উষ্ণ বার্তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেনকে এই চিঠি দেন। গত ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যন্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।