খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড নিয়ে অর্থ বাণিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। উপজেলার কপিলমুনি ইউপির ৪নং ওয়ার্ডে একক চেয়ারম্যান মো. কাওছার আলী জোয়ার্দারের স্বাক্ষর ও সীলে কপিলমুনি গ্রামে আয়শা বেগম স্বামী মফিজুল বিশ্বাস গ্রাম, রেকসোনা খাতুন স্বামী অনিক মাহমুদ, ফাতেমা খাতুন স্বামী জাহিদ বিশ্বাস, রিকু রায় স্বামী তপন রায়, সাদিয়া ইসলাম স্বামী রইছউদ্দিন সরদার, নাছিরপুর গ্রামে শাবনুর খাতুন স্বামী মো. মতি বিশ্বাস, পারুল বিবি স্বামী শহিদুল সরদার, মোছা: পারভীন বিবি স্বামী আবদুল ছাত্তার ও রিক্তা খাতুন স্বামী মো. মনিরুল সরদার, সিলেমানপুর। এই ৯ জনের নাম নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম স্বাক্ষরীত চুড়ান্ত তালিকায় নেই। অন্য অধিকাংশ সরকারি চাকুরি জীবীসহ (স্বামী) বেসরকারি চাকুরীজীবী প্রভাবশালীর নাম রয়েছে। একাধিক সূত্রে প্রকাশ ১ হাজার থেকে শুরু করে ৫/৬ হাজার টাকার বিনিময় ৪নং ওয়ার্ড মেম্বর রবিন্দ্রনাথ অধিকারী ভিজিডি কার্ড দিয়েছেন। ওই মেম্বর ইউপি সচিবকে না জানিয়ে নিজস্ব লোক দিয়ে (মধু বিশ্বাস, ইকবাল, হাফিজা, জয়দেব) অর্থ সংগ্রহ, তালিকা সহ পরিষদে বসে কার্ড প্রনয়ন করতে দেখা যায়। এমনকি ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রবিন্দ্রনাথ সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছখিনা বেগম (৪, ৫, ৬)কে বিভিন্ন সময় লাঞ্চিত সহ মারমুখি হয়ে উঠেন বলে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জানান। রবিন্দ্রনাথ ইউপি সদস্য ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নে পল্টি খামারের ব্যবসাসহ বসবাস করেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউপি সচিবসহ এলাকাবাসী। ওই সাবেক বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য নিজ এলাকায় বিতর্কীত কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে পাইকগাছা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা চলমান। ইউপি সচিব মো. আ. গণি গাজী বলেন, ভিজিডি উপকার ভোগীদের নামের ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়নি। এবং পরিষদ থেকে যে তালিকা করা হয়েছে তাতে আমার স্বাক্ষর নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম গত মঙ্গলবার এমন অনিয়ম দুর্নীতির খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষণিক ভিজিডি কার্ডে চাল বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দেন। এবং বিষয়টি তদন্ত হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।