বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেন, মঞ্চ ভাঙ্চুর করে বিএনপি’র আন্দোলন দমানো যাবে না। এবার আমরা সপথ নিয়েছি, জে টেল তো কিছুই না, আমাদের যদি হত্যাও করেন, দেখবেন ১০ জনকে হত্যা করেছেন, তারপর আবারো দেখবেন ১০ হাজার জন রাস্তায় দাঁড়ায় গেছে। কোন লাভ হবে না। তাই বলতে চাই, পুলিশ প্রশাসনের ভাইয়েরা আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, পাবলিকের টাকায় আপনাদের বেতন হয়, আওয়ামী লীগের টাকায় আপনাদের বেতন হয় না। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরাও পাবলিকের টাকায় বেতন নেয়। তাই পুলিশ ভাইয়েরা জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না। আওয়ামী লীগ আপনার বেতন দেয় না। আওয়ামীলীগকে রক্ষা করার জন্য গত ১৫ বছরে অনেক মায়ের বুক খালি করেছেন, অনেককে পঙ্গু করেছেন, অনেককে অসহায়ত্ব জীবনে বাধ্য করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে একের পর এক মামলা দিয়ে তিনি যেন দেশে না আসতে পারেন সেই ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই, এত কিছু করার পরেও সামনের দিকে কিন্তু রক্ষা পাবেন না। যেই আওয়ামীলগের জন্য চেন্য চেষ্টা করছেন, এই আওয়ামী লীগ এই বছর আর পার হবে না। এই বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা শেষ। তাই জনগণের কথা শুনেন। আমরা লড়াই করছি, জনগণের অধিকারের জন্য, জনগণের পেটের ভাতের জন্য, জনগণ যাতে আজকের ছাত্ররা যাতে চাকরী পায় সেটার জন্য, আজকের এই দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য। আজকে আওয়ামী লীগের যারা ক্ষমতায় আছে, তারা লুটপাটে ব্যস্ত। আজকে মানুষের মুখে ভাত নাই। কিন্তু তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে আমরা দেশবাসীকে বলবো, সমগ্র দিনাজপুরবাসীকে বলবো, বিরল উপজেলাবাসীকে বলবো, এটা একা মোজাহারুল এর সংগ্রাম না, এটা বিএনপি’র একার সংগ্রাম না, এই সংগ্রাম হলো আপনার আমার সমগ্র দেশবাসীর সংগ্রাম। যদি আপনারা বেঁচে থাকতে চান, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিল হাসিনা, এখন ৮০ টাকা কেজি চাল কিনতে হয়। আজকে ঢাকা শহওে একটা পরিবার একাই একটা মুরগী কিনতে পারেনা, দুই পরিবার মিলে একটা মুরগী ভাগ করে কিনতে হয়। ডিমের হালি ৫০ টাকা। একটা ডিম কেনার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের অবস্থা নাই। আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছে দেশের মানুষ ভালো আছে, আসলে আওয়ামীগের মন্ত্রী-এমপিরা ভালো আছে, আওয়ামী লীগের চেলা-চামুন্ডারা ভালো আছে। এখনও কিন্তু আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেই নাই। আপনারা জানেন, আন্দোলন কর্মসূচি দিলে রাজপথ বন্ধ হয়ে যাবে, হরতাল দিলে ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে, তখন এদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা আওয়ামী লীগের মত শুধুমাত্র আওয়ামী লী আওয়ামী লীগ আর শেখ মুজিব শেখ মুজিব করি না। আমরা এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি।
দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক মোজাহারুল ইসলাম এর আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর রুহের মাগফিরাত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি’র অন্যান্য নেতাকর্মী ও দেশবাসির সার্বিক কল্যাণ কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল-২০২৩) বিকেলে বিরল উপজেলা সদরে অবস্থিত বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় (বড়মাঠে) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে উপর্যুক্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আরো বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানলে জনগনকে সাথে নিয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল ও প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মোকাররম হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ খালেকুজ্জামান বাবু, আলহাজ্ব মাহবুব আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না ও মোঃ আনিসুর রহমান বাদশা।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মহিলাদলের সভাপতি মোছাঃ জিনাত আরা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবদল রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল মোন্নাফ মুকুল, বিরল উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রেজাউর রহমান রেজা প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিরল উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক মোঃ লুঁফর রহমান।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিরল-বোচাগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংগ্রহণ করেন।
ইফতারের পূর্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মী ও দেশবাসির সার্বিক কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়। এর আগে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান রেজা এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বাঁধা প্রদান, সাউন্ড সিস্টেম এবং মঞ্চ ভাঙ্চুরের তীব্র সমালোচনা করেন বক্তাবৃন্দ।