বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্যে নির্বাচন কমিশন যে নীতিমালা জারি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত করতেই নির্বাচন কমিশন অযৌক্তিক ও অগ্রহনযোগ্য নীতিমালা জারি করেছে। অনুমতি নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা এবং মোটর সাইকেল ব্যবহার, ১০ মিনিটের অধিক কেন্দ্রে অবস্থান, লাইভ সম্প্রচারে নিষেধ, একসঙ্গে দুই জনের অধিক সাংবাদিকের কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করার শামিল। তিনি বলেন, এসব অগণতান্ত্রিক বিধিনিষেধ সাংবাদিক সমাজ মানবে না। গতকাল সন্ধ্যায় গাজীপুরা এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর (জেইউজি)’র বার্ষিক সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, ইসলামি চেতনাকে বুকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ অনেক আলেম-ওলামাকে রমজান মাসেও কারাবন্দি করে রেখেছে। তারুন্যের প্রতীক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। একের পর এক মামলা দিয়ে তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। এসব মেনে নেয়া যায় না। সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর (জেইউজি)’র সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান। অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি, সাবেক কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলেক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদার, জেইউজি’র নেতা অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন প্রমুখ। বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সাংবাদিক নির্যাতন, নিপীড়ন ও সংবাদমাধ্যম দলন সাধারণ নিয়মে পরিনত হয়। একের পর এক সাংবাদিক হত্যা হয়, নির্যাতন হয় কিন্তু বিচার হয় না। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রথম আলো সম্পাদক ও পত্রিকার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যেভাবে রাষ্ট্রীয় খড়গ নেমে এসেছে তা ধারাবাহিক দমন-নিপীড়নেরই অংশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।