সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের অধিনস্থ খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকায় হরিণ শিকার প্রতিরোধে ও বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সহ স্টাফরা ফাঁড়ির এলাকায় অভিযান চালিয়ে হরিণের মাংস উদ্ধার করার পাশপাশি হরিণ ধরার ফাঁদ, অন্যান্য সরঞ্জাম সহ ডিঙ্গি নৌকা আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় দিন রাত টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। জানা গেছে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার কিছু অসাধু চক্র সম্প্রতি সুন্দরবনে ফাঁদ দিয়ে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে এসে হরিণের মাংস বিক্রি করছে। এদেরকে ধরতে বন বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে হরিণের মাংস, নৌকা, ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা সভা করার পরেও লোকালয়ে ফুট প্রেট্রোলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে লঞ্চযোগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনি বিগত ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল খাশিটানা টহল ফাঁড়িতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে হরিণ শিকার সম্পর্কে ৬ টি মামলা দায়ের করেছে। এতে আটক করা হয়েছে হরিণের মাংস সহ অসংখ্য নৌকা হরিণ ধরার ফাঁদ সহ অন্যান্য সরঞ্জাম। এ সকল মামলায় আসামিরা জেল হাজত গিয়ে জামিনে প্রাপ্ত হয়ে এলাকায় রয়েছে। অনেক মামলা চলমান রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে পিওআর মামলা সহ ইউডিআর মামলা দেওয়া হয়েছে অনেক। বন বিভাগের কৌশলগত কারণে হরিণ শিকারীরা চুপশি গেছে। তাদেরকে আটক করতে রাত দিন অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। খাশিটানা টহল ফাঁড়ির এলাকায় বন অপরাধ প্রবনতা অনেক অংশে কমে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ রায় বলেন,সুন্দরবনে হরিন শিকার প্রতিরোধে নানা ধরনের উদ্যেগ গ্রহন করা হয়েছে। বর্তমানে হরিণ শিকার অনেক অংশ কমে গেছে। সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসএিফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, সুন্দরবনের হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান চলছে। এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।