বৈশাখের শুরুতেই মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহের সাথে অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা ঘরের বাহিরে মানুষ বের হতে চাচ্ছেন না। ফলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের পিচঢালা পথগুলোতে মানুষের চলাচল অনেকটাই কমে গেছে।
প্রচন্ড গরমে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে, ফলে চলাচলে মানুষের ঝুঁকি বাড়ছে। রোববার দুপুরে বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা শনিবারের মতো বিরাজ করছে। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুয়েছে। আর এরইমধ্যে ১০ বছর পর আবারও বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে গত শুক্রবার বিকেলে। ওইদিন বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরআগে ২০১২ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিলো ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. হুময়ুন কবির বলেন, সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এখন আর আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর নেই, খাল নেই। এসব কারণে বাতাসের সাথে ময়েশ্চার বহন করেনা। তাই সবকিছু শুস্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আশার কথা হয়েছে, আগামী ২/১ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে এমনকি বৃষ্টিও হতে পারে।
অপরদিকে গত কয়েকদিনের মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহের কারণে প্রচন্ড গরমে জেলার বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যে সকলস্থানে গাছ বা ছায়া নেই সেইসকলস্থানে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্নস্থানের পাশাপশি বরিশালের গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্নস্থানে পিচ গলে গেছে। এ সড়কের পিচ গলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘœতা ঘটছে। পায়ের জুতা ও যানবাহনের চাকার সাথে পিচ লেগে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, মূলত পিচঢালা সড়কের ওপর সূর্যের তাপ পড়লে সেটি শোষন না হয়ে পিচকে উত্তপ্ত করতে থাকে। আর সড়কের যেসবস্থানে গাছপালা বা ছায়া নেই সেখানে প্রচন্ড তাপে এমনটা হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে উন্নতমানের পিচ ব্যবহার করা গেলে এমনটা হতোনা। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহে মানুষ যখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঠিক তখনই গরমের সাথে পাল্লাদিয়ে বেড়েছে অসহনীয় লোডশেডিংয়। ফলে রোজাদার ব্যক্তিসহ দিনমজুরদের সিমাহীন দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।