কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একদিকে প্রচ- তাপদাহ। অন্য দিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিং এর কারণে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তাপদাহের কারণে বাহিরে গিয়ে কাজকর্ম দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারণে ঘরে বসে থাকাও যাচ্ছে না। গত দুই সপ্তাহ যাবত তাপদাহ বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিংও। দিন রাত মিলিয়ে ১৫-১৬ ঘন্টা চলে লোড শেডিং। সবচেয়ে বেশি লোড শেডিং হচ্ছে গ্রাম এলাকায়। সেখানে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। রমজানের শেষ দিকে এসে ইফতার, তারাবীর নামাজ, সেহেরীর সময়গুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। আবার ঈদের কেনা কাটাকে সামনে রেখে বাজারের ব্যবসায়ীগণও প্রচ- গরমে বেচা কেনা করতে পারছেন না ঠিকমত। বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমত ঘুমতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
জানা যায়, কটিয়াদীতে বিদুতের চাহিদা রয়েছে ১৩-১৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৫ মে.ওয়াট। ঘন ঘন লোড শেডিংএর জন্য সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে কর্তৃপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় শংকিত থাকতে হয় কর্মকর্তাদের। তাই সোমবার সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এর সাথে সাক্ষাত করেন পল্লী বিদ্যুত কটিয়াদী জোনাল অফিসের একটি প্রতিনিধি দল। এ দিকে ঘন ঘন লোড শেডিং এর কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পৌর মেয়র শওকত উসমান। তিনি সোমবার সকালে সকল কাউন্সিলদের নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এর সাথে সাক্ষাত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার আহবান জানান।
কটিয়াদী জোনাল অফিসের ডিজিএম সোহরাব হাসান বলেন, কটিয়াদী জোনালের আওতায় সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং এমপি মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে লোডশেডিং কমে আসবে।