মানবতার ফেরিওয়ালা বলে খ্যাত লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের ছিন্নমুল, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে এগিয়ে আসার অভিযান চলছেই। প্রতিদিন লালমনিরহাট পৌর এলাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে এসব ছিন্নমুল, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ অর্থ দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মানবতার ফেড়িওয়ালা ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান লালমনিরহাট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ২০০ জন গরীব, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মামুষকে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রত্যেককে ৫০০ শত নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
উপকারভোগি ৪নং ওয়ার্ডের সুবিধা বঞ্চিত একাধিক পরিবার জানায়, সুমন ভাইয়ের মত দয়ালু মানুষ আছে বলেই প্রতি ঈদে একটু মাংস ও সেমাই এর মুখ দেখতে পারি। ছেলে মেয়েদের নতুন কাপড় কিনে দিতে পারি। আল্লাহ তার নেক হায়াত দান করুক।
মানবতার ফেড়িওয়ালা বলে খ্যাত সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান বলেন, আমরা ঈদের আনন্দ কার সঙ্গে ভাগাভাগি করি? ঈদের আনন্দ শুধুই কি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে? নিশ্চয়ই না। মুসলিম উম্মাহর ঈদের আনন্দণ্ডউৎসব; সবই উপভোগ করবে আপনজনসহ চারপাশের ছিন্নমুল, অসহায় ও দরিদ্র প্রতিবেশিদের নিয়ে।
ঈদের পূর্ব মুহূর্তে এসব মানুষদের নিয়ে আমাদের ভাবনা কি? যে সব প্রতিবেশি আমাদের চারপাশে অসহায়, দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। যারা দু'বেলা পেটপুরে খেতে পায় না। সেমাই-চিনি, নতুন জামা-কাপড়ের কথা বাদই দিলাম, যারা নিত্য দিনের ব্যবহারের জন্য সামগ্রী, খাবার ও জামা-কাপড়ই যোগাড় করতে পারে না। এরকম অগণিত অসংখ্য বনি আদমের অসহায় চেহারা আমাদের চারদিকে তাকালেই দেখতে পাই। যাদের জীবনে আসে না কোনো ঈদের আনন্দ। যাদের চিত্তে আগুন জ্বলে সর্বক্ষণ। যে জ্বালায় চোখে ঘুম আসে না। তাদের আবার ঈদের খুশি!
আসুন ঈদের উৎসবকে রঙিন করতে গরিব ও অসহায়দের দিকে সাম্যের হাত বাড়িয়ে দিই। খোঁজ নিই আমার, আপনার, সবার পাড়া প্রতিবেশির। কেউ শিশু, কেউ কিশোর, কেউ বা আছে যুবক, যারা আবার সঠিক পথ নির্দেশনা না পেয়ে সংসারে গ্লানি টানতে টানতে নিজের পরনের লুঙ্গিই কিনতে পারেনা। আসুন আমরা বিত্তবানরা তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। যারা বয়স্ক, বয়সের ভাড়ে নুজ্য, তাদের দিকে ভালবাসার দৃষ্টিতে তাকাই। এদের কারো প্রতি কোনো করুণা নয়। বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এগিয়ে যাই। নিজেদের ঈদের কেনাকাঁটার কিছু অংশ তাদেরকেও দিই।
তিনি আরো বলেন, সমাজে অনেক সম্পদশালী আছেন যারা নিজেদের ঈদের আনন্দ উদযাপনে অনেক অর্থ খরচ করেন। তাদের প্রতি আবেদন- তারা যেন ভুলে না যান দিকভ্রান্ত পথহারা শিশু-কিশোর ছেলে মেয়েদের। ভুলে না যান পাড়া প্রতিবেশি গরিব-দুঃখী অভাবি লোকদের কথা। যাদের পোশাকতো দূরের কথা খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।
সমাজপতিরা যদি সাধ্যমতো সব অভাবীর কথা ভাবে; এগিয়ে আসে তাদের সহযোগিতায়, তবে অসহায় মানুষও উপভোগ করতে পারবে ঈদের আনন্দ। কারণ এ গরিব-দুঃখী অভাবি মানুষগুলো এ সমাজ ও আমাদেরই অংশ। মহান করুণাময় আল্লাহ আমাকে যতদিন নেচে রাখেন ততদিন আমি আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য থেকে এসব অসহায়, গরীব ও ছিন্নমুল মানুষের পাশে থাকবো ইনশা আল্লাহ।