মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মো.বাছেদ ও তার চাচতো ভাই মোবারক হোসনে কে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গেল মঙ্গলবার পৌনে ১০ টার দিকে শবে কদর নামাজ শেষে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামে জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আহত মোবারক হোসেনের ছোট ভাই আলআমীন মুন্সী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার শবে কদর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন ওই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো.বাছেদ ও তার চাচা ভাই মৃত হাজ¦ী ইসমাইল হোসেনের ছিলো মোবারক হোসন।
এ সময় একই গ্রাামের ওমর আলী মাস্টারের ছেলে শাহাআলম এর নেতৃত্বে সজিব, মাসুদ, ফজল হক,রাফিসহ অজ্ঞাত ১৪ থেকে ১৫জন ব্যক্তিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মো.বাছেদ ও তার চাচতো ভাই মোবারক হোসনে কে মারপিট করে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এদের মধ্যে মোবারক হোসনে:কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপর আহত ব্যক্তি মো.বাছেদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ব্যক্তি মো.বাছেদ জানান, সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো প্রতিপক্ষের সাথে। এঘটনার এক মাস আগে প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয় তাদের। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে শবে কদর নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর পরই হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে। স্থানীয়দের বাধায় প্রাণে বেঁচে যাই।
চৌদ্দকাহনিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন বাসিন্দা মুসল্লী ওবায়দুল্লাহ বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন মো.বাছেদ ও মোবারক হোসন। এসময়ে তাদের উপর হামলা করে তারা। এর মধ্যে প্রাণে বাঁচতে মো.বাছেদ দৌড়ে গিয়ে আমার বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিলেও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। বিল্ডিং থেকে বের করে হাতুড়ি দিয়ে পিটাতে থাকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহআলম এর মোবাইল একাধিক বার ফোনে চেষ্টা করে ও তার বক্তব্য জানা যায়নি
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জানান, ঘটনার জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।