সারাদেশের ন্যায় বরিশাল নগরীতে চলছে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি। এজন্য ধুয়েমুছে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে নগরীর বান্দরোডস্থ কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠ। একসাথে পাঁচ হাজারেরও অধিক মুসল্লী এখানে একসাথে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানিয়েছেন, ঈদণ্ডউল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে আটটায় এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একই সময় বা কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই নগরীর প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ মসজিদের মধ্যে তিন শতাধিক মসজিদে সর্বোচ্চ সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আবদুল মান্নান।
তবে সকাল সাতটায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোডস্থ আঞ্জুমান-ই হেমায়েত ইসলাম মাঠে। এ ছাড়া নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদণ্ডউল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এখানে সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা এখানে নামাজ আদায় করবেন।
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ময়দানে সকাল সাড়ে আটটায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরীফে সকাল আটটায় ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগরীর জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ ও জামে কসাই মসজিদে দুটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব মসজিদে প্রথম জামাত সকাল আটটায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ইমাম সমিতির জেলা সভাপতি মাওলানা কাজী আবদুল মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, নগরীর সাড়ে পাঁচশ’ মসজিদের মধ্যে তিন শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত সকাল সাতটা থেকে সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।