“পরাণ ভইর্যা দোয়া করি, তুই আমাগো থাকবি। আমাগো তুই কহনো ছারিছনা, আমরাও তোরে শক্ত কইর্যা ধইর্যা রাহুম। তুইতো আমগো নিদেন কালের সাথী। সুহের দিনে না অইলেও নিদেন কালে তো তোরেই আমরা পাইছি। এই কয়দিন আগে শীতের মইধ্যে তুই আমাগো লিগা কম্বল আইন্যা দিছ্,া আবার ঈদের আগে নতুন শাড়ী দিলি। বিপদ আপদে সবার আগে আমরা তোরেইতো কাছে পাই। দেশে করোনা কালে তোর কারণে আমরা কত সাহায্য পাইছি, ভুলিনাইরে বাবা। গ্রামের বিপদ ও রুগ বালাই আইলে, আগুন লাগলে, ঝড় তুফেন বন্যা আইলে, সবার আগে আমারাতো তোকেই পাইছি। তাই রোজা মুখে পরান ভইর্যা দোয়া করি, তুই সারা জীবন আমাগো অইয়্যা থাকবি, আমরাও তোর অইয়্যা থাহুমরে বাবা”।
গতকাল ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রামে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মেল্যার নিজ বাড়ীতে দুস্থদের মাঝে ঈদ শাড়ী বিতরন কালে এক অসহায় বৃদ্ধা মুল্লুকজান (৬৫) নতুন কাপড় হাতে পাওয়ার পর আবেগঘন চোখে একের পর এক আর্শীবাদপুষ্ট বাক্যগুলো বলতে থাকেন। অনলবর্ষী ওই অসহায় বৃদ্ধার উৎফুল্ল্য হাসির সাখে উপস্থিত দানবীরদের মুখের হাসি একাকার হয়ে প্রকৃতিতে যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি নেমে এসেছিল।
এ সময় উপস্থিত সবাইকে মনে করে দিয়েছিল শেখ সাদীর সেই অমীয় বাণী “ও তোর তাছবিহ আর সেজদা দেখে খোদ এলাহী ভুলবে না, মানব সেবার পুঞ্জি ছাড়া স্বর্গ দ্বার খুলবে না”। আর মানব সেবার পুঞ্জি গোছানোর জন্য রাজধানী ঢাকার হা-মিম গ্রুপ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যার যৌথ উদ্যোগে উপজেলার অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে ৮৭০ পিচ ঈদ শাড়ী।
এসব ঈদ শাড়ী বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতলেব হোসেন মোল্যা, ভাইস চেয়ারম্যানের সহোদর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ লিটন মোল্যা, ইউপি সদস্য মোঃ কুব্বাত হোসেন, সরোয়ার হোসেন মৃধা, স্থানীয় গন্যমান্য আবুল বাসার ও নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
জানা যায়, ওই দিন উপজেলা সদর ইউনিয়ন ছাড়াও গাজীরটেক ও চরহরিরামপুর ইউনিয়নের তৃণমূল পর্যায়ের দুস্থ মহিলাদের মাঝে ঈদ শাড়ী পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মোতলেব হোসেন মোল্যা। প্রতিজন অসহায় ও দুস্থ মহিলাকে একপিচ করে ৮৭০ জন দুস্থর মাঝে মোট ৮৭০ পিচ ঈদ শাড়ী বিতরন করেছেন বলে জানা যায়।