সাতক্ষীরার তালায় ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার সময় পৃথক দুটি ঘটনায় ৩ জন
নিহত ও একজন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া
ও খলিশখালীর হাজরাপাড়া নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরীর করিম নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, তালা উপজেলার দুই সহোদর পাটকেলঘাটা থানাধীন এলাকায় মটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত হয়। অপরঘটনায় মটরবাইক ভ্যানে মেরে দিলে
ভ্যানআরোহী নিহত হয়।
তালার হাজরাপাড়ার দুর্ঘটনায় আহত সুজন গাজী (২৫) জানায়, ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা ৩ জন মোটর সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে হাজরাপাড়া নামকস্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় সুজন গাজীসহ তালার মাগুরা গ্রামের
আসাদ মোড়লের দুই ছেলে ইমরান হোসেন (১৯) ও রিফাত হোসেন (১৬) গুরুতর আহত
হয়।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরান হোসেনের মৃত্যু হয়। তার অপর ভাই রিফাত হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে দুই ভাইয়ের মৃতদেহ পৌছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আহত সুজন গাজী একই গ্রামের মিঠু গাজির ছেলে। নিহতদের ময়না তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ
হলেই শনিবার দিনের মধ্যে দাফন কাজ সম্পন্ন হবে বলে স্বজনরা জানান।
এদিকে অপর ঘটনায় নিহত শেখ শাহিন (২৬) তালা উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার আবদুল বারিক শেখের ছেলে। সে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতো। মাস চারেক আগে তার বিয়ে হয়। নিহতের পরিবারে উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আলামিন
জানায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসে শাহিন। শুক্রবার রাতে মির্জাপুর বাজারের কেনাকাটা শেষে মোটরভ্যান যোগে বাড়িতে ফিরছিল সে। পথিমধ্যে
নোয়াপাড়া বাজারে আসলে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল ভ্যানটিকে পিছন থেকে
ধাক্কামারে। এতে শাহিন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শবর্তী ক্লিনিকে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেওয়ার
পথিমধ্যে মৃত্যু হয়। আলামিন আরো জানান, স্থানীয়রা ওই সময় ঘাতক মোটর সাইকেল চালককে আটক করে।