নওগাঁর রাণীনগরে খুঁটি কারখানার মালিককে “ভুয়া” সিমেন্ট সরবরাহ করায় ওই কারখানা মালিকের প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ক্ষতির অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় কারখানার মালিক লেবু খন্দকার সোমবার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে দোকান মালিক জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলার বড়বড়িয়া (বিজয়কান্দি) গ্রামের গোলাম খন্দকারের ছেলে ভুক্তভোগী লেবু খন্দকার বলেন বড়বড়িয়া বাজারে সিমেন্টের তৈরি খুঁটি,চারি ও পাটের কারখানা খুলে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসার সুবাদে রাণীনগর বাজারের মেসার্স হাজী ট্রেডার্সের মালিক জাহিদুল ইসলামের নিকট থেকে সিমেন্ট ক্রয় করে থাকেন। এপর্যন্ত ওই দোকান থেকে প্রায় ৩/৪হাজার বস্তা সিমেন্ট ক্রয় করেছেন। এরইমধ্যে চলতি মাসের ৪তারিখে ওই দোকান থেকে ৫৬০টাকা দরে ১১৮বস্তা ‘আমান’ সিমেন্ট ক্রয় করেন। পরের দিন ক্রয়কৃত ওই সিমেন্ট দিয়ে খুঁটি তৈরিতে ব্যবহার করেন। এরপর নির্ধারিত সময়ে ঢালাইকৃত মালামাল জমাট না বাধায় হতাশ হয়ে পরেন। পরে দোকান মালিককে খবর দিলে দোকান মালিক কারখানায় গিয়ে স্বরেজমিন পরিদর্শণ করে বিষয়টি কোম্পানীর লোকজনদের জানান। এরপর কোম্পানীর পক্ষ থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার এসে পরীক্ষা সরুপ একটি খুঁটি তৈরিতে ঢালায় দেন। পরে ওই খুঁটিও জমাট না বাধায় সমস্যা জানতে পরীক্ষার জন্য সিমেন্টের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এরপর একটি ভূয়া রিপোর্ট প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন,আমি সিমেন্ট কিনেছি চলতি মাসের ৪তারিখে। আর পরীক্ষার যে রিপোর্ট আমাদেরকে দেয়া হয়েছে সেটি মার্চ মাসের ৯তারিখের। বিষয়টি দোকান মালিককে জানালে এবং ক্ষতির টাকা দাবি করলে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। গত প্রায় ২০দিন ধরে কারখানা বন্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “ভুয়া” সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দেয়ার কারণে রড,বালু,পাথর,শ্রমীকের মুজুরিসহ প্রায় ৫/৬লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে সোমবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
দোকান মালিক জাহিদুল ইসলাম বলেন দোকানে সিমেন্টের গাড়ী আসা মাত্রই গাড়ী থেকে কারখানার মালিক লেবু খন্দকার সিমেন্টগুলো নিয়ে গেছেন। সিমেন্টে মালামাল জমাট হচ্ছেনা এমন সংবাদ পেয়ে কারখানায় গিয়েছিলাম এবং একজন ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে সমস্যা জানতে পরীক্ষায় পাঠানো হয়ছে।পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি। পরীক্ষায় যদি সিমেন্টের সমস্যা ধরা পরে তাহলে কারখানার মালিককে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এ ছাড়া লেবুকে পরীক্ষার যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে তার সিমেন্টের গুনগত মান জানার জন্য দেয়া হয়েছে। সংগ্রহকৃত নমুনার রিপোর্ট নয়।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,এঘটনায় কারখানার মালিক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।