দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ ফেইস থেকে মঙ্গলবার (২৫এপ্রিল) কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। কয়লা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলাম সরকার। মঙ্গলবার সকাল ৬ থেকে বেলা ১২ টার প্রথম শিফটে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টন এবং পরবর্তীতে দৈনিক ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টন কয়লা উত্তোলিত হবে। ২০২২ সালের গত ৪ জুলাই ফেইসটির রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। রোডওয়ে উন্নয়ন কালীন সময় বেল্ট গেট এবং ওপেন অব কাট রোডওয়েতে অনাকাঙ্খিতভাবে পরপর দুটি বড় ধরণের রুফল সংঘটিত হওয়ায় বিসিএমসিএল ও চীনা কনসোটিয়াম ১১১৩ ফেইস তথা খনির সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে পূর্বের ডিজাইন পরিবর্তন করে প্রায় ৯০ মিটার দৈর্ঘের নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণ কাজ শুরু করে। রুফফল-এর কারণে নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণ কাজের জন্য ওই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করার পরিকল্পনা চলতি বছরের মে মাসের মাঝামঝি সময় থেকে পিছিয়ে জুন মাসের ১ম সপ্তাহে নির্ধারণ করা হয়। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা ও গ্রীষ্মকালে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ চাহিদা নিরসনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ¦ালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনায় বিসিএমসিএল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, চীনা কনসোর্টিয়াম-এর কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় ১১১৩ ফেইসে নতুন করে কাটা-খোলা নির্মাণ, ১৩০৬ ফেইস থেকে সকল সরঞ্জাম উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষন করে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, এই ফেইস থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উত্তোলিত সমুদয় কয়লা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে। ১১১৩ ফেইসে স্থাপন শেষে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন পূর্বেই এ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ১১১৩ ফেইসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ টন রয়েছে।