বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় রংপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে যুবলীগ কর্মীকে মারপিট ও বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির লালকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দলীয় কর্মকা- ও পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় সময় উত্তর কোলকোন্দ মীরপাড়ার যুবলীগ কর্মী শহিদুজ্জামান সোহাগের (৪৩) সাথে প্রতিবেশী খান সাহেবের (৫৫) বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সোমবার যুবলীগ কর্মী শহিদুজ্জামান সোহাগের সাথে খান সাহেবের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে সোহাগ অবস্থান করছে জেনে খান সাহেব ও তার ভাতিজা সুজন মিয়া (২৮), শামীম মিয়া (৩৮), লাল মিয়া (৩৫), রোকনুজ্জামান ওরফে কালু মিয়া (৪০), বাবু মিয়া (৩৫) ওই অফিসে যায় এবং সোহাগকে মারপিট করে ও চেয়ার-টেবিল তছনছসহ প্রধানমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে খান সাহেব ও তার ভাতিজা চলে যায়। এ ঘটনায় সোহাগ বাদী হয়ে সোমবার রাতে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় খানসাসহ তার ভাতিজাদের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর ইউপি মেম্বার লালকে গ্রেপ্তার করে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, এটি পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে, কোন রাজনৈতিক বিষয় এর সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে কোলকোন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া গেচে। আমরা এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছি।