হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের পাহাড় বেষ্টিত রসুলপুর গ্রাম মাদকের ট্রানজিট রুট হিসেবে পরিনত হয়েছে। এ গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। শাহজাহানপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির এক নেতা রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মাদক ব্যবসার গডফাদার ও আশ্রয়দাতা। তার নেতৃত্বে রসুলপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি বাহিনী রয়েছে। এ বাহিনীর ভয়ে সাধারন মানুষ আতঙ্কে দিন কাটায়। সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বাহিনীর লোকজন মারামারি ও খুন খারাপীতে জড়িয়ে পড়ে। গত ঈদের দিন এই বাহিনীর হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে এক মোয়াজ্জিনকে। মোয়াজ্জিন ইফরান আলী বাড়ির সামনে উচ্চ স্বরে সাউন্ডবক্র বাজাত এই বাহিনীর সদস্যরা। মোয়াজ্জিন ইফরান আলী সাউন্ডবক না বাচাঁতে বারন করায় বাহিনীর সদস্যরা তাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। গ্রামের নিরীহ লোকদের অভিযোগ রসুলপুর গ্রামের লোকজন অত্যন্ত শান্ত স্বাভাবিক প্রকৃতির। কৃষি কাজ ও গবাদি পশু পালন করে তারা জীবিকা পালন করতে। কিন্তু গত ৫ বছর আগে যুবলীগ নেতার মাধ্যমে রসুলপুর গ্রামে যুবকদের বেশি টাকা রোজগারের প্রলোভন দেখিয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত করে। তেলিয়াপাড়া ও সাতছড়ি সীমান্ত দিয়ে যুবলীগ নেতা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে রসুলপুর গ্রামে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য মজুদ করে রাখত। সুরমা চাবাগান ও সংরক্ষিত বনের পাহাড়ী পথ মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ মাধ্যম। রসুলপুর গ্রামের কমপক্ষে ৫০জন বিভিন্ন সময়ে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। মাদকের কারনেই রসুলপুর গ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মোয়াজ্জিন ইফরান আলীর হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ অনেক মাদক ব্যবসায়ী এ মামলায় আসামি হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের কাটগড়ায় দাড় করালে রসুলপুর গ্রাম থেকে মাদক ব্যবসা নিমূল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রসুলপুর গ্রামে মাদকসহ অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে।