কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলাটি হাওর অধ্যুষিত। সেই উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের আঠারবাড়িয়া গরুর বাজারটি একযুগ ধরে জেলার অন্যতম বাজার হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। এই বাজারের চলতি বছরে গরুর হাটটি ২১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ইজারা মূল্য হয়েছে। সরকারি ভ্যাট সহ মোট মূল্য হয়েছে ২৮ লক্ষ ৬ শত টাকা। সরে জমিন খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, করোনা ভাইরাসে গত ২ বছর আগে এই বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকা ইজারা দারদের লোকসান গুনতে হয়েছে। গত বছর হাট বাজার ইজারা মূল্য ছিল ১০ লক্ষ টাকারও বেশি। এ বছর ইজারা মূল্য তার দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু গরু কেনা ও বেছা নিয়ে মসজিদের টাকা সহ প্রতি গরু হতে প্রায় ৫ শত টাকা নিচ্ছে বলে হাট বাজার সূত্রে জানাগেছে। বুধবার দুপুরে আঠারবাড়িয়া বাজারে গেলে বিভিন্ন গরু পাইকার ও সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, প্রতি ছোট গরুর দাম ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি প্রতি গরুর দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা, বড় গরুর দাম ১ লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে বেছা কেনা হচ্ছে। এ বাজারে বুধবার প্রচুর গরু উঠেছে। এ দিকে এ বাজারে গরু ছাড়া ও ছাগল, মহিষ বেছা কেনা হচ্ছে। যেন ঈদের পরবর্তী সময়ের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। বুধবার দুপুরে এ বাজারের ইজারাদার আলম মিয়া যায় যায় দিনকে বলেন, প্রচুর গরু উঠলেও বেছা কেনা আগের তুলনায় অনেকটা ভালো বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বৈশাখ মাসে কৃষকরা ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকা স্বত্বেও মোটামোটি গরুর বাজার ভালো যাচ্ছে।