দেবহাটায় তিন ট্রাক ১৮ টন কেমিক্যাল মিশানো অপরিপক্ক আম জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ওই আম জব্দ করে। পরে বুধবার ২৬ এপ্রিল, ২৩ ইং জনসম্মুখে ঐ আমগুলো বিনষ্ট করা হয়। সূত্র জানায়, দেবহাটায় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতি মুনাফার আশায় অপরিপক্ত ও ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকানো আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। গত কয়েকদিনের অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫/০৪/২৩ তারিখ রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিন ট্রাক ভর্তি আনুমানিক ১৮ টন অপরিপক্ক আমসহ তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ওই অভিযানে আটককৃত ট্রাক ভর্তি আমগুলো জব্দ করাকালীন কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি অফিসার আবু লতিফ শামছুজ্জামান ছিদ্দিকি ও আতাহার হোসেনের সুপারিশ কৃত কাগজও জব্দ করা হয়।পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সখিপুর ও কামটা গ্রামের বিভিন্ন আমের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে একই ভ্রাম্যমান আদালত আরো আম জব্দ করেন। এ সময় অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম পেড়ে তা বিক্রির জন্য ক্যামিক্যাল দিয়ে পাঁকানোর বিষয়ে সত্যতা মেলে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে ঐ এলাকার অসাধু আম ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দকরা আমগুলো বুধবার জনসম্মুখে বিনষ্ট করে প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শরীফ শওকত ওসমান, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু প্রমুখ। অসাধু ঐ ব্যবসায়ীদেরকে ধরতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছ বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তথ্য মতে, আগামী ১২ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ১ জুন থেকে ল্যাংড়া এবং ১৫ জুন থেকে আম্রপালি আম পাড়া ও প্রাকৃতিকভাবে পাঁকানো আম বাজারজাত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।অভিযানকালে ইউএনও জানান, কাঁচা ও ক্যামিক্যাল মিশ্রিত আধাপাঁকা আম জব্দ করা হয়। যেসব আম জব্দ করা হয়েছে তার ভিতরের আঁঠি এখনো পুষ্ট হয়নি। তিনি আরো জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাতক্ষীরার আমের সুনাম নষ্ট না হয় সেজন্য এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।