সরিষাবাড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকায় প্রচন্ড খরা এবং তাপে ভুট্রার গাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে। বাজারে হঠাৎ করে ভুট্রার দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের মাখায় হাত। এদিকে জমি হকে মরা আগাছা গুলো পরিস্কার করার জন্য দিন মজুরও পাওয়া যাচ্ছে না। দুই একজন পাওয়া গেলেও মজুরী অরেক বেশী া ফলে শত শত একর ভুট্রার ফসল ক্ষেতেই শুকিয়ে মরা পাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। র্দীঘ এক মাসের খরা, প্রচন্ড তাপদাহ ও বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় ভুট্রা চাষে এবার কৃষকদের মাথায় হাত।
সরিষাবাড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৬৫১ হেক্টর জমিতে এবার ভুট্রার চাষ করেছে কৃষকেরা। যা লক্ষ্য মাত্রার তুলনায় ৬৫১ হেক্টর বেশী। কিন্তু দীর্ঘ ১ মাসের খরা আর প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ে গেছে ভুট্রার গাছ। ফলনও হয়েছে কম। বীজ বপন, সার, কিটনাশক, মাড়াই ও আগাছা পরিষ্কার করে ঘরে তুলতে কৃষকের যে পরিমান খরচ হয়েছে তার অর্ধেক টাকাও এবার উঠবে না কৃষকদের ঘরে।
চর জামিরা গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বরেন, আমি ৮ বিঢ়া জমিতে ভূট্রার চাষ করেছিলাম। খরার কারষে যেমন ভুট্রার গাছ মরে মোচার দানা কালো ও ছোট হয়ে গেছে তেমনি দামও কমে গেছে ধারণাতীত ভাবে। গত বছর যে ভুট্রার দাম ছিলো ১৪ ‘শ টাকা থেকে সাড়ে ১৪ ‘শ টাকা। এ বছর সেই ভুট্রার দাম কমে বর্তমানে হয়েছে ৭ ‘শ থেকে ৮ ‘শ টাকা। অথচ ভুট্রা চাষে এ বছর বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার খরচ হয়েছে। অনেকেই আবার ঋণ ধার করেও ভুচ্রা চাষ করে সর্বশান্ত গয়ে গেছে।
ভূট্রা টাষী মোজাম্মেল হক বলেনম খরচ কম আয় বেশী এই আশায় এ বছর ইরির চাষ বাদ দিয়ে ৮ বিঘা ভূট্রা চাষ বরেছি। শুরুতে ভুট্রার বাম্পার ফলন হবে বলে আশায় বুক বেধেছিলাম । কিন্তু দেড় মাস আগে শিলা বৃষ্টিতে ভুট্রার পাতার রঙ হলুদ হয়ে মরে যেতে থাকে। তারপর দীর্ঘ ১ মাস খরায় ভুট্রার কাচাঁ-পাঁকা পোক্ত অপোক্ত সব গাছই এক সাথে মরে শুকিয়ে যায়। ফলে বীজের দানা কালো ও ছোট হয়ে যায। কোনার পাড় গ্রামের কৃষক আইনাল হক বলেন, আমি ভূট্রার আবাদের উপর ৫০ জাজার টাকা লোন করে ফসল করেছিলাম। এভন আমি কি করবো। পরিবারের ভরন পোষণ দিব কি তিয়ে আর লোন শোধ করব কি দিয়ে। দীগল কান্দি গ্রামের ভুট্রা চাষী মাসুদুর রহমান বলেন, আমি এ বছর ইরির চাষ না করে ৭ বিঘা জমিতে ভুট্রার চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ভূট্রা হচ্ছে ২০ থেকে ২২ মন। অথচ এই খরিফ মৌসুমে প্রতি বিঢ়ায় ভূট্রা হয়ে থাকে ৪০ থেকে ৪৫ মন। এদিকে ফলন কম ,অন্যদিকে দামও কম।
তবে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট অঢিসের উধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবী জানান, এলাকায় গিয়ে স্ষ্ঠুু ভাবে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্ররোদণার মাধ্যমে সহযোগিদা করে আগামীতে কৃষকদের অধিক পরিমানে ভুট্রা চাষে আগ্রহী করে তুলবেন এমনটাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।