জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় আইন প্রতিষ্ঠার ৬ যুগ পরও ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়নি। এতে সারাদেশের ৪২ জেলায় চলমান ভূমি জরিপ ট্রাইবুনালের রায়ে সংকুবদ্ধ পক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পাহাচ্ছে।
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,দেশের ৪২ জেলায় ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৯ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৮৫ হাজার ৪১০ টি মামলা।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ফেয়ার নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন ল্যাল্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজটি প্রক্রিয়াধীন আছে। চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এটি এখন জাতীয় সংসদে গেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ভূমি জরিপ ট্রাইবুনালে করা মামলার সংখ্যা ৪৫১৪৪। জেলা ট্রাইবুনাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৩সাল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের হয়েছে। একজন মাত্র জজ দিয়ে একটিমাত্র ট্রাইবুনাল পরিচালনা করায় মামলার নিস্পত্তি সংখ্যা কম।জানা যায়,১০বছরে কিশোরগঞ্জ জেলায় নিস্পত্তি হয়েছে ৫৬৯১টি মামলা। এ আদালতে ও লোকবল কম।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর বাজারে গাজিরচরের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা হামিদুর রহমান সাহেবের ১০শতাংশ বাণিজ্যিক জমি রয়েছে। তাঁর ছেলে মাছুম খন্দকার বলেন,আমাদের মালিকানা ও ভোগদখল সত্বেও একটি পক্ষ গোপনে ভূমি জরিপ ট্রাইবুনালে ভুয়া দাগ খতিয়ানযুক্ত দলিল দিয়ে জায়গাটি একতরফা রায় করিয়ে নেয়। পরে তারা হাইকোর্টে রীট করিয়ে স্থগিত করেছন।
আপিলকোর্ট না থাকায় আপীল করতে পারছেন না তারা।
মাছুম খন্দকারের তথ্যমতে প্রতিপক্ষ আমাদের সাবেক ভাড়াটিয়া। ১৯৭০সালের ১২জানুয়ারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত একটি দলিল দাখিল করে ট্রাইব্যুনালে রায় পেয়ে যায়,ওই দলিলের নম্বর ৯২।ঐ দলিলের খোঁজ নিতে গেলে জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আবু তালেব ফেয়ার নিউজকে বলেন,বিতর্কিত দলিলের গ্রহিতার নাম মোঃ রজব আলী, দাতা শ্রী গোপাল চন্দ্র ধোপী ও মৌজার নাম নান্দিনা আলীয়াবাদ লেখা।অথচ কিশোরগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের ১৯৭০সালের ভলিউমে(বালাম বই)৯২ মন্বর দলিলটি রেজিষ্ট্রেশন হয় ৫ জানুয়ারি যার গ্রহীতার নাম আবদুল জলিল,দাতা মোঃ জমরত আলী গং মৌজার নাম নোয়াহাটা।