রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সোনা মিয়া (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীর ঢাকা কোচ স্টান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আজমল হোসের দুলু কাউনিয়া উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনিয়ে সোনামিয়া হত্যা মামলায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। এই ঘটনায় ৭৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া আরো অজ্ঞাত ১৫-২০ জন আসামি করা হয়েছে। নিহত সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ আখতারুজ্জামান সোহেল বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার ইমামগঞ্জ স্কুল এ- কলেজ মাঠে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে এলে শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষের নেতা কর্মীরা। এ ঘটনার জের ওই দিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে খানসামা হাট ইমামগঞ্জ স্কুল এ- কলেজ মাঠের রাস্তায় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে চিৎকার দিতে দিতে অপর গ্রুপের লোকজন কে খুঁজতে থাকে। এ সময় নাতনি কে আইসক্রিম খাওয়াতে ইমামগঞ্জ স্কুল এ- কলেজ কলোনি বাজারে আসে আওয়ামী লীগের সদস্য সোনা মিয়া। তাকে দেখতে পেয়ে প্রতিপক্ষরা এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনা স্থলেই প্রাণ হারান। নিহত সোনা মিয়া (৫৫) নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের আবদুল খালেকের পুত্র।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের মুখপাত্র (মিডিয়া) ইফতে খায়ের আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), রংপুর জানান, সোনা মিয়া হত্যাকন্ডে এ পর্যন্ত ৮ জন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।