রাজশাহীর পুঠিয়ায় জমির আকার পরিবর্তন করা যাবে না, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পুকুর খননের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ বছর শুরুতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কয়েক হাজার বিঘা জমি পুকুর খনন করে জমির আকার পরিবর্তন করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায়। কোনো ভাবেই থামছে না পুকুর খনন কার্যক্রম। তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের কাজ করছে প্রকাশ্যে। পুকুর খননের মাটি এস্কেভেটর দিয়ে কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকার নিচু জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুকুর খননে ফলে একদিকে যেমন জমির উর্বরতা কমছে অপর দিকে ফসলি জমি কমে পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পুকুর খননের বিরুদ্ধে জেল জরিমানার করলে, কিছু দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় সবকিছু সমঝোতা করে পুকুর খননের কাজ করছে। একজন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এস্কেভেটরের ব্যাটারি খুলে আনছে। মোটা অংকের টাকা দিলে ব্যাটারি দিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা পুকুর খননের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন পর্যন্ত করেছেন। স্থানীয় ক্ষমতাসিন দলের নেতাদের বিশাল বিশাল পুকুর করা ইতোমধ্যে শেষ করে ফেলেছেন। আবার কোনো কোনো নেতা পুকুর খননের টাকার ভাগ নেওয়ার জন্য পুকুর খননের বিরোধীতা করছেন বলে প্রশাসনের কর্তারা অভিযোগ তুলছেন। এভাবে চলতে থাকলে একসময় উপজেলা ফসলি জমির পরিমান একেবারেই থাকবে না। তারপর, যত্রতত্র পুকুর খননের ফলে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছেন। এবার উপজেলা বেলপুকুর থানার ছতরগাছা বিলে পুকুর খনন করছে দুর্গাপুর উপজেলার রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার মিনারুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি। গত বেশ কিছুদিন ওই বিলে প্রায় ১৮ থেকে বিশ বিঘা ফসলি জমি লীজ নিয়ে তারা পুকুর খনন শুরু করে। পুকুর খননকারী মিনারুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারি অনুমতি ছাড়্াই তারা পুকুর খনন করছেন। স্থানীয়রা বলছে, উপজেলায় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি না করা পর্যন্ত এক কোদাল মাটি খনন করা সম্ভব না। এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, এখন বৃষ্টি হচ্ছে। লোক পাঠাতে পরিনি। বৃষ্টি ছাড়লে খোঁজ খবর নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।