রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ মির্জাপুর গ্রামের একটি জমিতে ১৪৪ ধারা থাকার পরেও রাতারাতি ভুট্টা মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে বরপৃর্বক দখল ও বাড়ি নির্মান করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করার পরেও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পীলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,বিগত ১৯৫৮ ইং সালে ছোট মির্জাপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর নামে তার বাবা মৃতঃ ফছির উদ্দিন ওই মৌজার মৃতঃ নবা শেখ এর ছেলে কপিল উদ্দিনের কাছে ৪৮ শতক জমি ক্রয় করেন। জমি রেজিষ্ট্রির প্রাক্কাল্যে ভুল বশতঃ ১২৫৫ এর স্থলে নিজেদের জমির দাগ ১২৫৪ লেখা হয়। পরে তা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবিযোগ দিয়ে রেকর্ড সংশোধনের মামল্ওা দেয়া হয়। এরপর টানা অর্ধ শত বছরেরও বেশি সময় ধরে এরা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে মামা প্রতাবশালী রজরুল ইসলাম শাহাজাদার কাছে তার ভাগিনা সেকেন্দার আলীর ছেলে তাজমিনুর রহমান গং নানার অংশ দাবি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষদের লেলিয়ে দেয় শাহাজাদা। মওকা বুঝে একই গ্রামের মমতাজ হোসেন(৬৫),মোঃ বাটুল মিয়া(৪৫).রমজান আলী((৩৫),সুজন,সুমন,আমিনুল ইসলামসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র ভাড়াটেদের নিয়ে গত ৩ মার্চ বিকেলে বর্নিত জমিতে আবাদকৃত মরিচ ও ভুট্ট ক্ষেত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দখলপুর্বক টিনশেডের ২/৩ টি ঘর নির্মান করে। নব নির্মিত ঘরে প্রতিবন্ধী প্রকৃতির ২/৩ জন মহিলাকেও রাখা হয়েছে। ঘটনার পরদিন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করার পরেও আজও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছ্।ে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।