জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দুস্থ ও অসহায় নারীদের ভিডাব্লিউবি(ভিজিডি)‘র খাদ্য তালিকায় নাম লেখাতে ৫- ১০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আবজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। আফজাল হোসেন উপজেলা পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। যারা তার চাহিদা মতো টাকা দিয়েছেন, শুধু তাদের সুপারিশ করেছেন ঐ ইউপি সদস্য। আর টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে ভিজিডি খাদ্য তালিকার নাম থাকার উপযোগী নারীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে টাকা নেওযার অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ভূক্তভোগী মহিলারা জানায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডাব্লিউবি) চক্রের ৮টি ইউনিয়নে মোট বরাদ্দ পায় ২৪৫০ টি কার্ড়। পোগলদিঘা ইউনিয়নে কার্ড বরাদ্দ পায় ৪৫৬ টি। এ কার্ডের মধ্যে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কার্ড পায় ১২ টি। মূলতঃ অসহায়, দুস্থ, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় এ কার্ড বরাদ্দ দেয় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আগামী দুই বছর ৩০ কেজি করে চাল পাবে উপকার ভোগীরা। এ কর্মসূচির আওতায় গত ১১ এপ্রিল থেকে ৩০ কেজি করে উপকার ভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়। এ খবর পেয়ে ইউপি সদস্য আফজাল হোসেনের বাড়ীতে যান নারীরা। গিয়ে শুনেন কার্ডের তালিকায় তাদের নাম নেই।
অথচ কার্ড করার বিনিময়ে ৫-১০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক নারী। ভুক্তভোগী নারীরা জানান, ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন ভিজিডিকার্ড করে দিতে ৫ হাজার করে টাকা নেয়। চাল বিতরণ শুরু হয়েছে শুনে কার্ডনিতে তার বাড়ীতে গেলে কার্ড হয়নি বলে চলে যেতে বলে। টাকা ফেরত চাইলেও দিতে অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য। ভুক্তভোগী নারীরা আরো জানান, কার্ড প্রস্তুুত হলেও দাবিকৃত টাকা পরিশোধ না করায় কার্ড দিচ্ছেনা ইউপি সদস্য আবজাল হোসেন। তার বিচার দাবি করেন তারা। ইউপি সদস্যের অনুসারী দুই নারী জানান, কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আফজাল মেম্বারকে দিয়েছি। আরো টাকা বাকি থাকায় কার্ড দিচ্ছেনা এখন। আমরা পড়েছি বিপদে বলেও তারা জানান। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবজাল হোসেন জানান, অনেকের সুপারিশে কার্ড করে দিয়েছি। তবে টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শায়লা নাজনীন জানান, টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে বা কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক জানান, কার্ড বিতরণেকোনো ইউপি সদস্য টাকা নিলে তার প্রমান হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।